

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার রায়ের বিষয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
সংস্থার মতে, ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ‘সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত’ হয়নি।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড সোমবার (১৭ নভেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের সময় যে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটেছে, তার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার প্রয়োজন।
কিন্তু এই রায় ন্যায়সঙ্গত হয়নি। মৃত্যুদণ্ডের সিদ্ধান্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাত্রা আরও বাড়ায় এবং কোনো ন্যায়বিচার ব্যবস্থায় এর স্থান নেই।”
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওই সময়ে ১,৪০০-এর বেশি মানুষ নিহত এবং অসংখ্য আহত হয়েছেন।
নিহত ও আহতদের পরিবারের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুযায়ী স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার প্রক্রিয়া জরুরি।
অ্যামনেস্টি দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের ঘাটতি নিয়ে সমালোচনা করে আসছে।
অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, “বিচার কার্যক্রম দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করা হয়েছে।
আসামিদের আইনজীবীরা খুব কম সময় পেয়েছেন রক্ষার্থে প্রস্তুতি নিতে। প্রমাণ যাচাই করার সুযোগও সীমিত ছিল, যা ন্যায়বিচার নিশ্চিত হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে।”
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল স্পষ্ট করে জানিয়েছে, তারা কোনো ক্ষেত্রেই মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করে না, কোনো অপরাধ, পরিস্থিতি বা দোষের মাত্রা হলেও।
এর আগে, জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার, প্রতিবেশী দেশ ভারত ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বর্তমানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী পলাতক অবস্থায় আছেন, তাই তিনি আপিল করতে পারছেন না।
এরপর, ১৭ নভেম্বর দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর তিন সদস্যের প্যানেল রায় ঘোষণা করে। রায়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়; একটিতে আজীবন কারাদণ্ড এবং দুটি মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
