

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


লক্ষ্মীপুরে স্থানীয় বিএনপি নেতা আবুল কালাম জহিরকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করার আগে তিনি ১১ জনকে দায়ী করেছেন বলে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সোমবার রাত ১০টার পর এই ৩৪ সেকেন্ডের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, আবুল কালাম জহির তাঁর মৃত্যুর জন্য ১১ জনকে দায়ী করছেন।
বিশেষ করে তাঁর চাচাতো ভাই খোরশেদ, ছোট কাউসার এবং তিন ভাই, শাহ আলম ও তাঁর দুই ছেলে, স্বপন, আলমগীর ও সুমনকে উল্লেখ করেছেন।
জহির বলেন, “যদি আমার মৃত্যু ঘটে, তবে এদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।”
ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে দেখছেন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, নিহত নেতা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন যে কোনো সময় তাঁকে হত্যা করা হতে পারে।
পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন জানান, ভিডিওটি পুলিশের নজরে এসেছে। ইতিমধ্যে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লতিফপুর এলাকার শাহ আলমের ছেলে ইমন হোসেন, মমিন উল্যাহর ছেলে আলমগীর হোসেন এবং নুরুল আমিনের ছেলে হুসাইন কবির সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরার জন্য অভিযান চলমান।
এর আগে একই দিন বিকেলে নিহত আবুল কালাম জহিরের স্ত্রী আইরিন আক্তার চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এই ১১ জনের পাশাপাশি আরও দু’জনকে আসামি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, যেহেতু জহির মৃত্যুর আগেই পরিস্থিতি আঁচ করেছিলেন, তাই এখন হত্যার ঘটনায় জড়িতদের পরিচয় পরিষ্কার। গ্রামবাসী ও নিহতের স্বজনরা দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চন্দ্রগঞ্জের মোস্তফার দোকান এলাকায় জহিরকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে অভিযুক্ত কাউসার অবস্থান করছিলেন। পরে রাত ৯টার দিকে একটি ক্রিকেট ভিডিও পোস্ট করে ফেসবুকে ‘আউট’ লেখেন। নিহতের পরিবার মনে করছেন, এটি হত্যাকাণ্ডের পূর্বাভাস হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছিল।
অভিযুক্ত কাউসার হোসেন জানিয়েছেন, ভিডিওটি তার ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা হলেও হত্যার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। ঘটনার সময় তিনি লতিফপুর বাজারের মোস্তফার দোকানে ছিলেন এবং বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জহিরের সঙ্গে বাজারে ছিলেন। তবে নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছেন, ছাত্রদল কর্মী কাউসারই মূলত হত্যার সঙ্গে জড়িত।
মন্তব্য করুন