

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মেয়ে সুমাইয়া রাবেয়া।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দেওয়া দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি পরিবারের কঠিন সময়, ব্যক্তিগত মানসিক যন্ত্রণার স্মৃতি ও বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে নিজের উপলব্ধি তুলে ধরেন।
রাবেয়া লেখেন, তার বাবার রায় ঘোষণার সময় তিনি প্রথম সন্তান ধারণ করেন, জীবনের নতুন অভিজ্ঞতা, কিন্তু সেই সময়ই শুরু হয় পুলিশি অভিযান, পরিবারজুড়ে অস্থিরতা। ভাইয় গুম, আর দুই পরিবারেই ছিল ভয়, আতঙ্কের পরিবেশ। এই অস্থিরতার মাঝেই মা হওয়ার খবরটি তাদের একমাত্র সান্ত্বনা ছিল।
তিনি জানান, সেই কঠিন সময়ে বাবা এবং বাবার আইনজীবী আরমান ভাই তার জন্য দোয়া করেছিলেন।
আরমান ভাই বাবার আইনজীবী হওয়ায় নিয়মিত ভিজিটেশনের বাইরেও দেখা করার সুযোগ পেতেন।
রাবেয়ার ভাষায়, আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বাড়ছিল, অনেকেই বলছিলেন, মীর কাসেম মূলত রাজনৈতিক ব্যক্তি নন, ’৭১ সালে তার বয়সও ছিল মাত্র ১৯; তাকে কেন্দ্র করে যে অভিযোগগুলো প্রচার করা হয়েছে, তা ছিল বাড়াবাড়ি।
তিনি লেখেন, তাঁদের বিশ্বাস ছিল—ফাঁসির আদেশ নাও হতে পারে। আজীবন কারাদণ্ড হলেও অন্তত বাবাকে দেখার সুযোগ থাকবে। তবে সেই সামান্য আশা ভেঙে যায় মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হওয়ার পর।
রাবেয়ার বর্ণনায়, রায় শোনার পর বাবার বিজয়চিহ্ন দেখানো—তাদের জন্য ছিল বেদনামাখা মুহূর্ত। গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি emotionally ভেঙে পড়েন। এরপর অত্যন্ত অমানবিকভাবে সংকীর্ণ ভ্যানে নিয়ে বাবাকে কনডেম্নড সেলে পাঠানো হয়।
তিনি উল্লেখ করেন, জেলগেটের সামনে দাঁড়িয়ে আইনজীবী আরমান ভাই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন—সেই কান্না রাবেয়ার কানে বহুদিন ধরে বাজতে থাকে। মানসিক চাপের সেই চরম পরিস্থিতিতে তিনি নিজের অনাগত সন্তানকেও হারান।
মন্তব্য করুন
