

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মুন্সীগঞ্জ জেলার ৬টি উপজেলার সর্বত্র-ই মধু বৃক্ষ খেঁজুর গাছ কাটার ধুম পড়েছে। আর মাত্র ১/ সপ্তাহ পরই গ্রাম বাংলার গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতীক মধু বৃক্ষকে ঘিরে গ্রামীন জনপদে শুরু হবে এক উৎসব মুখর পরিবেশ।
মধু বৃক্ষ থেকে গাছিরা সংগ্রহ করবে সুমিষ্টি খেজুরের রস, তৈরি হবে লোভনীয় পাটালী গুড় ও রসে তৈরী পায়েস ও ভিজানো পিঠা খাওয়ার ধুম পড়বে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় যা -এ জেলার লৌহজং ও শ্রীনগর দুই উপজেলাতে - চোখে পেড়ে মোগল আমল থেকে ।
শীতের শুরুতে সৃষ্টি যেন গ্রাম বাংলার এক নতুন আমেজের। এক সময় মুন্সীগঞ্জে খেজুরের রস, গুড় ও পাটালী উৎপাদনে প্রসিদ্ধ ছিল। দেশের বাইরে ও এর বেশ কদর রয়েছে। বিক্রমপুর অতীতে এখানকার খেজুর রসের যে যোশ ছিল বর্তমানে সে যোশ হারিয়ে যাচ্ছে। গ্রাম বাংলার সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক এ খাতে সরকারী কোন পৃষ্টপোষকতা না থাকায় বর্তমানে আগের মত রস গুড় উৎপাদন হয় না।
ইতোমধ্যে শহরের লোকজন গ্রামের গাছ কাটা গাছিদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে প্রতি বছরেরর মতো। আবার গাছিদের আগাম টাকা দিচ্ছেন ভাল গুড় ও পাটালী পাবার আশায়। আগাম টাকা পেয়ে অনেক গাছি রস সংগ্রহের উপকরন তৈরি করছেন।
শ্রীনগর উপজেলার বারৈগাও গ্রামের গাছি করিম মিয়া জানান, এ বছর আগে ভাগেই খেজুর গাছ কাটা শুরু হয়েছে। উপজেলায় এখন শীত জাগান দিয়েছে তাই খেজুর গাছ কাটা, চাঁচ দেওয়া, দা তৈরি, দড়ি ও মাটির কলস (ভাড়) কেনা, রসের কলস ঝোলানোর স্থান তৈরি করা সহ যাবতীয় কাজ পুরোদমে চলছে জেলা জুরে।
সড়ক পথের ও জমির আইল গুলোতে কোন গ্রাম নেই যেখানে কমবেশি খেঁজুর গাছ নেই। এসব গ্রামের গাছিরা খেঁজুরের রস সংগ্রহের জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আসন্ন শীত মৌসুমকে ঘিরে গ্রাম বাংলার চিত্র পাল্টে গেছে মুন্সীগঞ্জে ৬টি উপজেলার সব কটি ইউনিয়নে ।
মন্তব্য করুন