

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ইমাম ও খতিবদের সমাজ নেতৃত্বে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তাঁর মতে, মসজিদের দায়িত্বপ্রাপ্তরা যেন কারও দয়া বা অনুগ্রহের ওপর নির্ভরশীল না হন; বরং তাদের প্রাপ্য মর্যাদা নিশ্চিত করা জরুরি।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সম্মিলিত ইমাম–খতিব জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র ইমাম মাওলানা মুহিব্বুল্লাহিল বাকি আন নদভীর সভাপতিত্বে দুপুর ২টায় শুরু হওয়া এই সম্মেলনে ইমামদের সামাজিক নিরাপত্তা, ধর্মীয় অধিকার, মসজিদ পরিচালনার নীতিমালা ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে একটি রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হয়।
জামায়াত আমির বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমেই একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখান থেকেই রাষ্ট্রের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হতো।
তাঁর ভাষ্যমতে, তখন আলাদা কোনো কার্যালয় ছিল না, রাষ্ট্রপরিচালনার কেন্দ্রবিন্দুই ছিল মসজিদে নববী। বিভিন্ন ধর্ম ও মতের মানুষ সেখানে এসে মিলিত হতেন, পরামর্শ গ্রহণ করতেন।
তিনি আরও বলেন, মসজিদনির্ভর সমাজই ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ সমাজব্যবস্থা তৈরি করেছে। নবীজির প্রতিষ্ঠিত সেই সমাজকে আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং উত্তম সমাজ হিসেবে ঘোষণা করেছেন—এর আগে বা পরে তেমন সমাজ আর সৃষ্টি হয়নি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, নবীজির আদর্শ বাদ দিয়ে নতুন সমাজভিত্তিক মতবাদের ওপর দাঁড়িয়ে শান্তিময় রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, সেসব সমাজ টেকসই শান্তি বা সম্মান কোনোটিই অর্জন করতে পারে না।
ইমাম–খতিবদের সাতদফা দাবির একটি ছিল, মসজিদ কমিটিতে তাদের সম্মানের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, কমিটি গঠনের মূল কেন্দ্র হওয়া উচিত ইমাম ও খতিবরা। তাদের বাদ দিয়ে নয়, বরং তাদের নেতৃত্বে কমিটি পরিচালিত হওয়া উচিত।
জামায়াত আমিরের মতে, ইমাম–খতিবদের দাবি খুবই ক্ষুদ্র পরিসরের। তিনি বলেন, “শুধু এসব ছোটখাটো দাবিতে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। আপনাদের সমাজের দায়িত্ব নিতে হবে। যেদিন নামাজের ইমাম সমাজ নেতৃত্বের ভূমিকায় আসবেন, সেদিনই সত্যিকারের মুক্তির পথ উন্মুক্ত হবে।”
মন্তব্য করুন
