মঙ্গলবার
২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মঙ্গলবার
২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৮.২ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের ইঙ্গিত মিলছে: বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:২৭ পিএম
আফটারশক
expand
আফটারশক

দেশে টানা চার দফা ভূমিকম্পের পর ৩২ ঘণ্টা পার হলেও মানুষের দুশ্চিন্তা কাটছে না।

আবহাওয়াবিদ ও ভূতাত্ত্বিকরা বলছেন, ভূকম্পের পরবর্তী সময়ে স্বল্পমাত্রার ঠেলাগুলো (আফটারশক) স্বাভাবিক ঘটনা হলেও বড় ধরনের ভূমিকম্পের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের নিচে যে প্লেট রয়েছে, সেখানে দীর্ঘদিন ধরে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের সমপরিমাণ শক্তি জমে আছে, যা ভবিষ্যতে মুক্ত হবেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও ভূমিকম্প গবেষক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার জানান, ভারতীয় প্লেট ধীরে ধীরে পূর্বদিকে সরে গিয়ে বার্মা প্লেটের নিচে ঢুকে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় চট্টগ্রাম–পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলজুড়ে একটি বড় সাবডাকশন জোন তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, “সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত এই বিশাল জোনের কয়েকটি অংশে দীর্ঘদিন ধরে প্রচুর চাপ জমা আছে। এখানে ৮.২–৯ মাত্রার শক্তি লুকিয়ে আছে—এটা একসময় বের হবেই।”

তার মন্তব্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক ভূমিকম্পটি মূলত প্লেটের খুব ক্ষুদ্র অংশ খুলে যাওয়ার ইঙ্গিত দিতে পারে, যা বড় ভূমিকম্পের সম্ভাব্য আগাম সংকেত।

মাধবদীতে হওয়া ভূকম্পনের স্থান পরিদর্শনে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, একটির পর আরেকটি ছোট কম্পন হওয়া ভূতাত্ত্বিকভাবে স্বাভাবিক। তিনি জানান, মাধবদীর মূল ভূমিকম্পের পর যে তিনটি কম্পন অনুভূত হয়েছে, সেগুলোর শক্তি প্রধান কম্পনের তুলনায় অনেক কম ছিল।

তার ভাষায়, “একটা এলাকায় বড় কম্পন হলে পরে কিছু সময় ধরে ছোট ছোট কম্পন হয়। এটাকে আমরা ফল্টের স্বাভাবিক সমন্বয় প্রক্রিয়া বলি। এতে বুঝা যায়—স্থানটি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল অবস্থার দিকে যাচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, যদিও আপাতত মাধবদী উৎস থেকে বড় ধরনের ভূমিকম্পের সম্ভাবনা কম দেখা যাচ্ছে, কিন্তু দেশের অন্যান্য সক্রিয় ফল্ট থেকে ঝুঁকি রয়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যা দেন-

প্রায় ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ৫০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ২৯০ দিনের মধ্যে ছোট মাত্রার যে কম্পনগুলো হয়, সেগুলোকে আফটারশক হিসেবে ধরা হয়।

আবার তিন বছরের মধ্যে ১১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে ৮ মাত্রা বা তার বেশি ভূমিকম্প হলে আগের সব ছোট কম্পনকে ফোরশক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন