

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে।
ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত হিমেল হাওয়া আর উচ্চ আর্দ্রতার কারণে পুরো জেলাজুড়ে শীতের উপস্থিতি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে গত কয়েকদিন ধরে ভোররাতেই ঠান্ডার দাপট প্রকটভাবে অনুভূত হচ্ছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা চলতি সপ্তাহের অন্যতম কম তাপমাত্রা।
এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। এর আগের দিন রোববার (২৩ নভেম্বর) একই সময়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিন রাতের এই বড় তাপমাত্রার তারতম্য শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে তুলছে।
সকাল ও সন্ধ্যায় হালকা কুয়াশা দেখা গেলেও দিনের বেলায় রোদের দেখা মিলছে। তবে প্রচণ্ড আর্দ্রতা ও হিমেল বাতাসের কারণে শীতল আবহ টিকে রয়েছে।
এদিকে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ভোররাত থেকেই কনকনে ঠান্ডা হাওয়া বইতে শুরু করে। স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় কয়েকদিন ধরে শীত অনেকটা জেঁকে বসেছে। বিশেষ করে সকাল ও রাতে বাইরে বের হওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে।
হাড়িভাসা এলাকার কৃষক আকবর আলী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ঠান্ডাটা অনেক বেড়ে গেছে। সকালে মাঠে যাওয়া কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কামাত কাজল দিঘী এলাকার ভ্যানচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, সকালে ঘন কুয়াশা না থাকলেও খুব ঠান্ডা লাগে। ভ্যান চালাতে কষ্ট হয়। যাত্রীও পাওয়া যায়না।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ডিসেম্বরের শুরুতে শীত আরও জেঁকে বসবে।
মন্তব্য করুন