

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পশ্চিম সিংভূম জেলার একটি সরকারি সদর হাসপাতালে রক্ত সঞ্চালনের পর পাঁচজন শিশুর শরীরে এইচআইভি পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমিত রক্ত দেওয়ায় এই শিশুরা এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছে বলে বিবিসি এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করেছে।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরপরই স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। হাসপাতালের সিভিল সার্জন, এইচআইভি ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্ট টেকনিশিয়ানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।
সংক্রমিত শিশুদের মধ্যে একজনের মা অভিযোগ করেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে মেয়েকে রক্ত দিতে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আচরণে তিনি সন্দেহ করতে শুরু করেন। পরে একজন স্বাস্থ্যকর্মী তাকে জানান যে, ভুল রক্ত দেওয়ার কারণে তার মেয়ে এইচআইভি পজিটিভ হয়ে গেছে।
স্থানীয় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চন্দন কুমার জানান, ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে এই জেলায় মোট ২৫৯ জন রক্তদাতা রক্তদান করেছেন। এর মধ্যে ৪৪ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজন দাতা এইচআইভি পজিটিভ বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকি দাতাদের সম্পর্কে বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঝাড়খণ্ডের বিশেষ স্বাস্থ্য সচিব ডা. নেহা অরোরার মতে, বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। তিনি দাতার রক্ত পরীক্ষা প্রক্রিয়া নিয়ে বলেন, আগে পরীক্ষার জন্য প্রি-কিট ব্যবহার করা হতো, যার ফলে রোগটি দেরিতে ধরা পড়ত।
তিনি নিশ্চিত করেন, নির্ভুল ফলাফল নিশ্চিত করতে এখন থেকে ডোনারদের পরীক্ষার জন্য প্রি-কিট ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন এলিসা বা এনএটি টেস্টের মাধ্যমে ভাইরাস দ্রুত শনাক্ত করা হবে।
ঝাড়খণ্ডের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী রামচন্দ্র চন্দ্রবংশী এই ঘটনায় সিভিল সার্জন এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের অবহেলাকে সরাসরি দায়ী করেছেন। অ্যাক্টিভিস্ট অতুল গেরা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে পাঁচ হাজারেরও বেশি থ্যা
মন্তব্য করুন
