

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


যারা নিয়মিত জমির খাজনা পরিশোধ করছেন না, তাদেরকে সুদসহ বকেয়া খাজনা পরিশোধ করতে হবে। নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা পরিশোধ করা এখন জরুরি হয়ে উঠেছে। কারণ, সরকার চাইলে তিন বছরের বকেয়া খাজনা অনাদায়ে আপনার জমি নিলামে তুলে বকেয়া টাকা আদায় করতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রেগান এমনটি জানাই ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টানা তিন বছর খাজনা না দিলে সেই জমি বাজেয়াপ্ত করে খাস খতিয়ানে নিয়ে আসা হতে পারে। পাশাপাশি, জালিয়াতির মাধ্যমে কারও জমি দখলের প্রমাণ মিললে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে। এই বিধানগুলো ‘ভূমি মালিকানা ও ব্যবহার আইন, ২০২৩’-এর খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা ভূমি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করেছে।
সুপ্রিম কোর্টের খ্যাতনামা আইনজীবী ব্যারিস্টার মঈন ঘোছ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, খাজনা হল জমির জন্য সরকারের নির্ধারিত বা দাবিকৃত বার্ষিক অর্থ। এটি সময়মতো পরিশোধ না করলে সংশ্লিষ্ট জমি ‘রেকর্ড অব রাইটস’-এ অনিয়মিত হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। খাজনা দীর্ঘদিন পরিশোধ না করলে তা বাতিলের কারণ হতে পারে এবং জমি সরকারের দখলে চলে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ২০০২ সালের ভূমি সংস্কার আইন অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়সীমায় খাজনা না পরিশোধ করলে ভূমি অফিস নোটিশ প্রদান করতে পারে। নোটিশ বারবার উপেক্ষা করা হলে জমির মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত জমি বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে।
মন্তব্য করুন
