

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে এবার নির্বাচনী আইনে যুক্ত হয়েছে ‘না ভোটের’ বিধান। এর ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হওয়ার সুযোগ শেষ। ভবিষ্যতে কোনো প্রার্থী এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জনগণের মতামতই হবে চূড়ান্ত।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনী অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পাওয়ার পর এটি জারি হয়। এর আগে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে অধ্যাদেশটি সংশোধন করা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি ধারা পরিবর্তনের পাশাপাশি নতুন ধারাও যুক্ত করা হয়েছে।
আরপিও’র ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে সংযোজিত নতুন বিধান অনুযায়ী, কোনো আসনে যদি মাত্র একজন প্রার্থী থাকেন, তবুও ব্যালট পেপারে “না ভোট” দেওয়ার সুযোগ থাকবে। অর্থাৎ, ভোটাররা প্রার্থীর নামের পাশাপাশি “না ভোট” অপশনও দেখতে পাবেন।
যদি “না ভোট” প্রাপ্তির সংখ্যা প্রার্থীর ভোটের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে ঐ আসনে নতুনভাবে নির্বাচন আয়োজন করা হবে।
তবে প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট যদি “না ভোটের” চেয়ে বেশি হয়, রিটার্নিং অফিসার সেই প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করবেন।
সংশোধিত আরপিও অনুযায়ী, কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হলে এবং তিনি আপিল দাখিল করলে, সেই আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাউকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যাবে না।
যাচাই-বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর কোনো এলাকায় যদি শেষ পর্যন্ত একজন প্রার্থী অবশিষ্ট থাকেন, তাহলে ভোট হবে সেই প্রার্থী ও “না ভোট”-এর মধ্যে।
তবে দ্বিতীয়বারের নির্বাচনে যদি আবারও একমাত্র প্রার্থী থাকেন, তখন তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যাবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সংশোধনী ভোটাধিকার প্রয়োগে নাগরিকদের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা দিচ্ছে। একইসঙ্গে এটি একক প্রার্থীর মাধ্যমে সংসদ গঠনের সম্ভাবনাও কার্যত বন্ধ করছে।
মন্তব্য করুন
 
                    