

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


দেশের রাজনৈতিক দলগুলো এখন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে গণভোট নিয়ে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বিরোধ দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিকে গভীর সংকটে ফেলতে পারে।
পরিস্থিতি সংঘাতময় হয়ে উঠছে এবং জাতীয় নির্বাচনও ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি, সেনা অভ্যুত্থানের সম্ভাবনাও উড়িয়ে বলা যাচ্ছে না। একে অপরের প্রতি আস্থার অভাব এবং দলীয় স্বার্থের প্রাধান্য পরিস্থিতিকে ক্রমেই জটিল করে তুলছে।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় সরকারের কাছে গণভোটের সুপারিশ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সুপারিশে বলা হয়েছে, গণভোটের মাধ্যমে পরবর্তী সংসদকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। তবে গণভোটের নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত সরকারের হাতে থাকবে।
রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণভাবে গণভোটের প্রয়োজনীয়তায় একমত হলেও ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে বিরোধ তীব্র। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট চায় এনসিপি, আর ধর্মভিত্তিক দল জামায়াত ইসলামী নভেম্বরেই গণভোটের দাবি করছে। অন্যদিকে, বিএনপি একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট চায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী এই দ্বন্দ্বকে আস্থার সংকটের ফল বলছেন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়’ এই নীতিতে বিশ্বাস করলে এত সমস্যা হতো না। কিন্তু এখানে দলীয় স্বার্থকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, এই অনিশ্চিত পরিস্থিতি চলতে থাকলে জাতীয় নির্বাচনের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু আয়োজন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হবে। আমাদের চারপাশের দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায়, অভ্যুত্থানের আশঙ্কা উড়িয়ে বলা যায় না।
অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী আরও বলেন, সরকার ব্যর্থ হলে জনগণের নিরাপত্তা ও দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য সেনাবাহিনী পদক্ষেপ নিতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সংকট সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক বিরোধ সমাধান সম্ভব, এবং এই ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টা বড় ভূমিকা রাখতে পারবেন।
মন্তব্য করুন
 
                    