

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যে ৬৩টি আসনে নিজস্ব প্রার্থী ঘোষণা করেনি, তার বেশিরভাগই রাখা হয়েছে মিত্র রাজনৈতিক দল ও জোটভুক্ত সহযোগী সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতাদের জন্য। বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এসব আসনে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন নেতাকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রগুলোর তথ্যমতে, মনোনয়নপ্রাপ্ত সহযোগী দলের ১২ জন নেতার মধ্যে রয়েছেন—পিরোজপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বগুড়া-২ আসনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাকা-১৭ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা।
এছাড়া আরও রয়েছেন— ঢাকা-১৩ আসনে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদের পুত্র অধ্যাপক ওমর ফারুক, কুমিল্লা-৭ আসনে এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, নড়াইল-২ আসনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, পটুয়াখালী-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, এবং ঝিনাইদহ-২ আসনে একই দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এই আসনগুলোতে সমঝোতার ভিত্তিতে প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে যাতে জোটের প্রভাবশালী নেতারা নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে পারেন এবং বিএনপির মূল অবস্থানকে সমর্থন জোগাতে পারেন।
এর আগে সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। অবশিষ্ট ৬৩টি আসন সহযোগী দলগুলোর জন্য রাখা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
 
                    