

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি সোমবার ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। তবে এই তালিকায় দেখা যায়নি দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার নাম।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন।
দিনভর সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার পর রাতে বেসরকারি টেলিভিশন নিয়মিত টকশোতে যোগ দিয়ে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেন রুমিন ফারহানা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নান ও সাংবাদিক ও বিশ্লেষক সাহেদ আলম। আলোচনার বিষয় ছিল ‘মনোনয়ন: পাওয়া না পাওয়ার হিসাব’।
তিনি জানান, তার মনোনয়ন আপাতত ‘অন হোল্ড’ অবস্থায় রয়েছে। বিএনপির দীর্ঘদিনের সহযোগী কিছু দলের সঙ্গে জোটগত সমঝোতার কারণেই ৬৩টি আসন এখনো ঘোষণা করা হয়নি। পাশাপাশি নতুন কিছু দলের সঙ্গেও জোটের আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।
রুমিন বলেন, ১২-১৫ বছর ধরে সুখে-দুঃখে যেসব দল বিএনপির পাশে ছিল, তাদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির আলোচনা হচ্ছে। তাই এখনো অনেক আসন ঝুলে আছে। দল ‘উইনেবল’ প্রার্থী খুঁজে দেখছে সেই বিবেচনায় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
মনোনয়ন বঞ্চিতদের বিক্ষোভ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, বড় দলে প্রার্থীর সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই বেশি থাকে। অনেক আসনে ১০-১২ জন করে প্রার্থী থাকায় চূড়ান্ত নির্বাচন কঠিন। দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন বলেও জানান তিনি।
বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের আবেগকে শ্রদ্ধা করা উচিত। মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। তবে এ পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
রুমিন আরও জানান, তালিকাটি এখনো প্রাথমিক। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন আসতে পারে কেউ বাদ পড়তে পারেন, আবার নতুন কেউ যুক্তও হতে পারেন। এছাড়া নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট কিছু আইনি জটিলতার কারণেও কয়েকটি আসনের মনোনয়ন স্থগিত রয়েছে। বাগেরহাট-২ আসনকে তিনি এর উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
নারী প্রার্থীর সংখ্যা নিয়ে তিনি বলেন, যদি বিএনপি নারী মনোনয়ন ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে রাজি হয়, তাহলে চূড়ান্ত তালিকায় আরও নারী যুক্ত হওয়া সম্ভব।
এছাড়া কিছু আসনে নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে, যার রায় এখনো অপেক্ষমাণ। এসব কারণে ওইসব আসনে মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বাগেরহাট-২ আসনের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে একজন নিশ্চিত প্রার্থীর মনোনয়ন কেবল কমিশনের দ্বন্দ্বের কারণেই আটকে আছে বলে জানান।
মন্তব্য করুন
 
                    