

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে ৬৩টি আসন।
ফাঁকা রাখা হয়েছে। এই ফাঁকা আসনগুলোতে প্রথম অগ্রাধিকার পাবেন বিজয়ী জোটভুক্ত দলের পরীক্ষিত নেতারা, যারা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির পাশে ছিলেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ফাঁকা রাখা আসনগুলোতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করার কারণের মধ্যে রয়েছে—একাধিক যোগ্য প্রার্থীর মধ্যে কে জিতে আসবে তা যাচাই করা, এবং একক প্রার্থী ঘোষণা করলে দলের ভিতরে সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা।
সোমবার রাজধানীর গুলশানস্থ বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা প্রকাশ করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “যেসব আসনে জোটমুক্ত বা সমর্থক দলগুলোর প্রার্থী দেওয়ার সুযোগ আছে, সেই আসনে আমরা কোনো প্রার্থী ঘোষণা করিনি। তারা নিজ দলে থেকে প্রার্থী দেবেন। পরে সমন্বয় করা হবে।”
সম্ভাব্য জোটভুক্ত প্রার্থীরা
বিএনপি ফাঁকা রাখা আসনগুলোতে সমর্থন দিতে পারে নিম্নলিখিত নেতাদের জন্য: চট্টগ্রাম-১৪: এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদের ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক। বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ): নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। পটুয়াখালী-৩: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ঝিনাইদহ-২: গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
লক্ষ্মীপুর-১: বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র সাহাদাত হোসেন সেলিম। লক্ষ্মীপুর-৪: জেএসডির নেতা আসম আব্দুর রবের স্ত্রী তানিয়া রব।
ঢাকা-১৭: বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ। ঢাকা-১৩: ববি হাজ্জাজ। ঝালকাঠি-১: বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬: গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে, এই আসনগুলোতে জোটভুক্ত নেতাদের প্রার্থিতা নিশ্চিত হলে, বাকী ফাঁকা আসনে বিএনপির নিজস্ব ত্যাগী ও সক্রিয় নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে।
বিএনপির এই কৌশল মূলত জোট সমর্থক ও দলের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখা, এবং একক প্রার্থী ঘোষণার ফলে তৈরি হতে পারে এমন বিরোধ ও বিশৃঙ্খলা রোধ করার লক্ষ্যে নেয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
 
                    