

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সিরাজগঞ্জ পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, গত জানুয়ারি মাসে থেকে কাটাখালি খাল পরিষ্কার বাবদ আগের ১০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সঙ্গে আরও ২১ জন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যাদের মাসিক বেতন প্রায় ৮ হাজার টাকা করে।
সরজমিনে কাটাখালি পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, রেলগেট, বড়বাজার, সিরাজগঞ্জ কলেজ গেইট, বাহিরগোলা বাজার এলাকায় খালে কচুরিপানায় ভরপুর । এছাড়া বাসা বাড়ির সব ময়লা আবর্জনা সরাসরি কাটাখালিতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এতে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে কাটাখালি খাল। খাল পাশ্ববর্তী এলাকায় নেই ময়লা ফেলার ডাস্টবিন। এজন্য খাল পাড়ে বসবাসকারীরা দিব্যি তাদের আবর্জনা সরাসরি খালে ফেলছে। এতে দেখা যাচ্ছে, কাটাখালি খাল পরিষ্কার না থাকায়, পর্যাপ্ত সামাজিক সচেতনতা না থাকায়, খাল পাড়ে ডাস্টবিনের অভাবেই, এসমূস্ত ময়লা আবর্জনা খালে যাচ্ছে।
ব্রিটিশ আমলে নির্মিত সিরাজগঞ্জ শহরের অক্সিজেন খ্যাত খালটি নানা সময়ে হত্যা করা হয়েছে। শত কোটি টাকা ব্যয়ে গত কয়েক বছর ধরে কাটাখালি খনন, সৌন্দর্য বর্ধন ও বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করলেও আজও দূষণের হাত থেকে মুক্তি পায়নি।
এবিষয়ে গত বছর বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে, তিনি কাটাখালি খাল পরিষ্কারে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে আলাদা নির্দেশ দেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে সিরাজগঞ্জ পৌরসভায় আরও ২১ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়।
টুকু ব্রীজ এলাকা চলাচলরত হাবিব জানান, প্রকল্প যখন আসে, তখন কিছু লোকজন নিয়ে এসে পরিস্কার করে। ছবি তুলে ভিডিও করে নিয়ে যায়। এক দুই দিন কাজ করেই আবার চলে যায়। আসলে পরিষ্কার হয় নামমাত্র, কাগজে কলমে কাজ করেই কর্মচারীরা বেতন নেন। তিনি আরও বলেন, খাল খননের পর আর কচুরিপানা পরিষ্কার হয়নি।
কাটাখালি এলাকায় বসবাসকারী আব্দুল রহমান জানান, কাটাখালি খাল পরিষ্কার তো দূরের কথা, গত চার পাঁচ মাসেও এখানে কোনো পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা আসেনি। শুকনো থাকতে, দুই তিন দিন কয়েক জন কাজ করে ছিল। আপনারাই দেখেন এখানে ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। কতদিন ধরে পরিষ্কার হয় না। সব সুয়ারেজ লাইন কাটাখালিতে দেওয়া হয়েছে। মশার উৎপত্তি স্থলে পরিনত হয়েছে কাটাখালি খাল, নেই পরিষ্কার, নেই কোনো কার্যকর পদক্ষেপ এক সময়ে অক্সিজেন সরবরাহের খাল এখন রোগ জীবাণুর বাহকে পরিণত হয়েছে।
এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক গণপতি রায় জানান, কাটাখালি পরিষ্কার নিয়ে ইতিমধ্যে ডিসি স্যার আমাকে নির্দেশনা দিয়েছে। তিনি আরও জানান, কাটাখালি স্থায়ী ভাবে পরিষ্কারের জন্য আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে।
মন্তব্য করুন