

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বগুড়ায় নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হয়েও ঘুষ না দেওয়ায় চাকরি থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
মামলায় বিবাদীদের কারণ দর্শাতে বলা হলেও নির্ধারিত সময়ে জবাব না পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগ কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।
মাটিডালী এলাকার শাহাদত হোসাইন সম্প্রতি নামুজা এসএসআই ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার ল্যাবসহকারী পদে আবেদন করেছিলেন।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় তিনি ৩৪.৫০ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন। পরে নিয়োগ কমিটির স্বাক্ষরিত ফলাফলও তিনি হাতে পান।
অভিযোগে বলা হয়, ফল প্রকাশের দুই দিন পর ১৫ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ রুস্তম আলী তাকে ডেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। শাহাদত ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে ৬ অক্টোবর স্থানীয় একটি পত্রিকায় একই পদে নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
পরে বিষয়টি জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজাকে জানাতে গেলে তিনি কথিতভাবে শাহাদতকে কক্ষ থেকে বের করে দেন। এ নিয়ে তিনি লিখিত অভিযোগও জমা দেন।
কোনো প্রকার কার্যকর ব্যবস্থা না পেয়ে শাহাদত ৯ অক্টোবর প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা (নং–৭৩৯/২০২৫) দায়ের করেন।
অধ্যক্ষ রুস্তম আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই চাকরি প্রার্থীর সঙ্গে আমার দেখা পর্যন্ত হয়নি।” জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ জানান, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পূর্বেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। নতুন জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলাপ করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জানান, বিবাদীরা সাত দিনের মধ্যে জবাব না দেওয়ায় আদালত নিয়োগ কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। আগামী ২০ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে দায়িত্ব হস্তান্তরের পর ১৬ নভেম্বর সাবেক ডিসি হোসনা আফরোজার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) শফিকুল ইসলাম টুকু বলেন, “ডিসির ব্যক্তিগত নামে মামলা হয়নি; দায়িত্বশীল পদে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এমন মামলা প্রায়ই হয়ে থাকে।
মন্তব্য করুন