

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


রাজধানীর মিরপুরে প্রকাশ্যে গুলিতে নিহত হয়েছেন পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়া (৪৭)।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মিরপুর ১২ নম্বর ‘সি’ ব্লকের একটি হার্ডওয়্যার দোকানে ঢুকে তাকে লক্ষ্য করে কয়েকজন অস্ত্রধারী গুলি চালায়।
পুলিশ জানায়, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মোটরসাইকেলে আসা দুই-তিন জন ব্যক্তি দোকানে ঢুকে খুব কাছ থেকে তার মাথা, বুকে ও পিঠে পরপর গুলি করে পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। গুরুতর অবস্থায় কিবরিয়াকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ওলীপুরের বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া দুই মেয়ের বাবা।
পরিবারের সদস্যরা জানান, মরদেহ হস্তান্তরের পর মিরপুরেই জানাজা ও দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শৈশব থেকেই পরিবারের সবাই ঢাকায় বসবাস করেন।
ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, কিবরিয়া দোকানে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই তিনজন হেলমেট পরা ব্যক্তি ভেতরে ঢুকে গুলি ছোড়া শুরু করে।
দোকানে তখন আরও কয়েকজন থাকলেও আতঙ্কে দ্রুত বেরিয়ে যান। কিবরিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও হামলাকারীরা আরও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
নিহতের খালাতো ভাই পারভেজ বলেন, “ভাইটি খুবই শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিল। রাজনৈতিক কারণে তাকে একাধিকবার কারাবন্দি হতে হয়েছে। এমন নির্মম হত্যার বিচার আমরা চাই।”
স্থানীয় বিএনপি নেতা খায়রুল হাসান বেনু বলেন, “কিবরিয়া মাঝে মাঝে গ্রামে আসতেন। তাকে এভাবে প্রকাশ্যে হত্যা করা হবে—এটা কেউ ভাবতে পারেনি। দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।”
মিরপুর বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, “ঘটনার পর একজনকে আটক করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ চলছে। এখনো হত্যার মোটিভ স্পষ্ট নয়।”
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, “কিবরিয়া যুবদলের দায়িত্বশীল নেতা ছিলেন এবং ব্যবসাও করতেন। তার সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। তাকে নয়টি গুলি করা হয়েছে—এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হয়।”
মন্তব্য করুন
