

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আমতলী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকিরের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি–এর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত প্রেরিত এক চিঠিতে তার বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। খবর জানাজানি হতেই বিকেলে আমতলী বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করেন এবং মিষ্টি বিতরণ করেন।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ৩ জানুয়ারি তুচ্ছ একটি ঘটনার জেরে এবং স্থানীয় কিছু নেতার ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের কারণে কেন্দ্রীয় কমিটি জালাল উদ্দিন ফকিরকে বহিষ্কার করেছিল। সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা। বহিষ্কারাদেশের মধ্যেও তিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ দলের সব কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তার ডাকে হাজারো নেতাকর্মীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল বলে দাবি করেন হালিম হাওলাদার, মতি মোল্লা, আবু সালেহ ও হানিফ বয়াতি। তাদের মতে, তিনি আমতলী বিএনপির তৃণমূলের অন্যতম ভরসার জায়গা।
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়ায় বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোতেও নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। আমতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. মাহবুব উল আলম মৃধা বলেন, দলের পরীক্ষিত নেতা জালাল উদ্দিন ফকিরকে পুনর্বহাল করায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান–কে আমতলী উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, এতে উপজেলা বিএনপি আরও শক্তিশালী ও গতিশীল হবে এবং তৃণমূলে নতুন প্রাণ ফিরে আসবে।
আহবায়ক জালাল উদ্দিন ফকির দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের চিঠি পেয়েছি। দলের একটি কুচক্রী মহল কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল বোঝালেও সত্য শেষ পর্যন্ত প্রকাশ পেয়েছে। এখন তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আরও সংগঠিতভাবে কাজ করবো।
এ বিষয়ে আকন কুদ্দুসুর রহমান—বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) বলেন, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এরই অংশ হিসেবে তাদের বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন