

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, দেশটির বিচার বিভাগের কাছে তার মোটা অঙ্কের অর্থ পাওনা রয়েছে।
তিনি আরো বলেছেন, এই ক্ষতিপূরণ আদায়ে তার কোনো ব্যক্তিগত আগ্রহ নেই। যদি ক্ষতিপূরণ পাই, সবটাই দান করে দেব।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প ফেডারেল তদন্তে আইনি লড়াইয়ের সময় যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছেন, তার ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ২৩ কোটি ডলার আদায়ের চেষ্টা করছেন।
প্রতিবেদনটি নিয়ে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন,
“আমি আমার আইনজীবীদের সঙ্গে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কখনো আলোচনা করি না। তবে এটুকু জানি—বিচার বিভাগের কাছে আমার অনেক টাকা পাওনা আছে।
তিনি বলেন, এই অর্থ আমি চাই না। যদি কখনো ক্ষতিপূরণ পাইও, পুরো টাকাটাই চ্যারিটিতে দান করে দেব। কিন্তু তারা যা করেছে, সেটা ভুল ছিল—তারা নির্বাচনে কারচুপি করেছে।”
ট্রাম্প ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে পরাজয়ের পর ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন। তার সমর্থকেরা পরে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গা চালায়, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে আলোচিত এক সহিংসতা হিসেবে বিবেচিত হয়। এই ঘটনার পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়।
তবে ট্রাম্প সব অভিযোগকেই “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে দাবি করে আসছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বেশ কিছু মামলায় অব্যাহতি পেলেও, এসব মামলার লড়াইয়ে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে তাকে।
নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, ট্রাম্প দুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ক্লেইম বা প্রশাসনিক দাবি দাখিল করেছেন, যা ক্ষতিপূরণ মামলার প্রাথমিক ধাপ হিসেবে বিবেচিত হয়।
প্রথম ক্লেইমটি জমা দেওয়া হয় ২০২৩ সালের শেষ দিকে, যেখানে ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার সম্ভাব্য হস্তক্ষেপ ও সেই তদন্তে এফবিআই এবং বিশেষ কাউন্সিলের ভূমিকার বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় দাবি দাখিল করা হয় ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে, যেখানে ট্রাম্পের বাসভবন মার-আ-লাগোতে এফবিআইয়ের তল্লাশি অভিযানকে ‘গোপনীয়তা লঙ্ঘন’ ও ‘বিদ্বেষমূলক আচরণ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
বিচার বিভাগ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও, সাংবাদিকদের প্রশ্নে বিভাগের মুখপাত্র চ্যাড গিলমারটিন বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতেই বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা পেশাদার নৈতিকতা মেনে কাজ করেন।
বর্তমানে প্রেসিডেন্ট পদে থেকেই ট্রাম্প সেই একই বিচার বিভাগকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যারা একসময় তার বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়েছিল—যা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
