

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কুমিল্লার চান্দিনায় জামায়াতে ইসলামী দলের ভেতরে চরম দ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় একটি বাজারে দলীয় সংসদ-সদস্য প্রার্থী মনোনয়নকে কেন্দ্র করে মোশারফ গ্রুপ ও ব্যারিস্টার শাকের গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দলের রক্ষণশীল চেহারা থেকে বের হয়ে এবার নেতাদের মধ্যে প্রকাশ্য ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অতীতে এমন বিভাজন চোখে পড়েনি, তাই হঠাৎ এই দৃশ্য দেখে এলাকাবাসী হতচকিত হয়েছেন।
দলের সিনিয়র নেতারা চেষ্টা করছেন দুই গ্রুপকে একত্রিত করতে এবং দ্রুত দ্বন্দ্ব নিরসন করে একীভূতভাবে কাজ শুরু করানোর।
জানানো হয়, কুমিল্লা-৭ আসনের জন্য মাওলানা মোশারফ হোসেনকে প্রার্থী ঘোষণা করলে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। তারা মনোনীত প্রার্থীকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে অভিযোগ তুলেছেন যে মোশারফ হোসেন সাবেক আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ।
সোমবার আয়োজিত পাঁচ দফা দাবির গণমিছিলের সময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ দেখা যায়। শাকের গ্রুপের অনুসারীরা মোশারফ হোসেনের হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেন এবং ‘দল বিক্রি চলবে না, আওয়ামী দোসর প্রার্থী মানি না’ স্লোগান দেন।
দলীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নেতাকর্মীরা এমপি প্রার্থী নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন। অভিযোগ, প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক নিয়ম যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি এবং তৃণমূলকে উপেক্ষা করে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যারিস্টার মোস্তফা শাকের উল্লাহ বলেন, “মনোনয়ন দিয়েছে দল; তবে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।”
চান্দিনা উপজেলা জামায়াতের সাবেক সভাপতি সাজিদ আল আমিন সোহাগ অভিযোগ করেছেন, প্রার্থী মোশারফ হোসেন সাবেক আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য প্রাণ গোপাল দত্তের ঘনিষ্ঠ।
চান্দিনা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তবে ব্যারিস্টার শাকের গ্রুপের নেতাকর্মীরা তা মানছেন না। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে শিগগিরই সবাই এক হয়ে মাঠে কাজ শুরু করবে।
মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা মোশারফ হোসেন বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা বাস্তব নয়। আমি আদর্শিকভাবে কাজ করেছি এবং রাজনৈতিক আপস করিনি। উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়াকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।”
কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের আমির আব্দুল মতিন জানিয়েছেন, বিরোধ শিগগিরই মিটে যাবে এবং সবাই এক হয়ে মিলেমিশে কাজ করবে।
মন্তব্য করুন
