

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হঠাৎ শুরু হয়েছে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ লেখার এক নতুন ঢেউ।
বুধবার রাত থেকে ব্যবহারকারীদের নিউজফিডজুড়ে এই দুটি শব্দে ভরতে শুরু করেছে নানা পোস্ট।
কারও স্ট্যাটাসে শুধু ‘হ্যাঁ’, কারও প্রোফাইলে ‘না’—কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই। এতে অনেকেই বিস্মিত, কেউ বা কৌতূহলী এই নতুন ট্রেন্ড নিয়ে।
মূলত আসন্ন গণভোটকে কেন্দ্র করেই এই অনলাইন প্রচারণা শুরু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ ভোটের অবস্থান এখন ফেসবুকেও প্রতিফলিত হচ্ছে।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোটের সময়সূচি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপি সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের দাবি জানালেও, জামায়াতে ইসলামী চায় নভেম্বরে আলাদা গণভোট। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)ও সংসদ নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে।
ফলে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির অবস্থানের পার্থক্য অনলাইনেও ‘হ্যাঁ–না’ পোস্টের মাধ্যমে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।
ছাত্র সংগঠনগুলোও এ প্রবণতায় যুক্ত হয়েছে। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির নিজের প্রোফাইলে ‘না’ লিখে পোস্ট করেছেন, অপরদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অফিসিয়াল পেজে প্রকাশিত হয়েছে ‘হ্যাঁ’ লেখা একটি পোস্ট।
এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রস্তাবনা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে।
কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
