

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পাওয়া জকসু নীতিমালা অনুযায়ী ইতোমধ্যে গঠিত হয়েছে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনও।
এদিকে, জকসুর সংবিধিতে ছাত্রদলের প্রস্তাবনায় নতুন করে পাঁচটি পদ সংযোজন করা হয়েছে। এই সংযোজনকে স্বাগত জানিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল আহবয়াক মেহেদি হাসান হিমেল বলেন, “আমরা সংবিধি গভীরভাবে পর্যালোচনা করেছি। কিছু ধারা শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিবাচক হলেও কিছু জায়গায় আরও স্পষ্ট ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে। আমরা প্রস্তাব করেছি— জকসুর মেয়াদ ও দায়িত্ব বাস্তবসম্মত করা, সদস্য পদে অংশগ্রহণ সহজ করা এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণমূলক কাজের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া। পাশাপাশি, উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের ক্ষমতা শুধু সহ-সভাপতির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সাধারণ সম্পাদককেও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি মানে সহনশীলতা ও ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধা। সব সংগঠন যেন স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে এবং প্রশাসন যেন নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন আয়োজন করে, সেটাই আমরা চাই। আমরা বিশ্বাস করি, জকসু নির্বাচন হবে একটি গণতান্ত্রিক উৎসব, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রকৃত নেতৃত্ব গড়ে তোলার সুযোগ পাবে। নির্বাচনের মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রগতিশীল জকসু গড়ে উঠবে। জকসু হোক শিক্ষার্থীদের আশা, নেতৃত্ব ও গণতন্ত্র চর্চার কেন্দ্রবিন্দু।”
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন,
“বিগত সময়ে দেশের অনেক ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে— সেটি সবারই জানা। আমরা চাই, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন এমনটা না ঘটে। সবাই যেন সমান সুযোগ পায়, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
ছাত্রদলের প্রস্তাবনায় জকসু নীতিমালায় যুক্ত হয়েছে নতুন পাঁচটি পদ— ১. মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক ২. আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক ৩. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ৪. স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ৫. একজন সদস্য
ছাত্রদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো হল সংসদ না থাকায় প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার্থীদের সংকট সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সম্পাদকীয় পদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন