

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ট্রাম্প বলেন, গত মে মাসের সংঘাতের সময় দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি বড় ধরনের যুদ্ধে গড়াতে পারত। তাঁর ভাষায়, “তখন সাতটি বিমান ভূপাতিত হয়েছিল, পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ।”
তিনি দাবি করেন, সংঘাত থামানোর জন্য নিজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। ট্রাম্প তাঁদের সতর্ক করে বলেন, যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বন্ধ করে দিয়ে ২৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসাবে।
ট্রাম্প বলেন, “আমি বলেছিলাম, যদি তোমরা না থামো, তাহলে এমন কর শুল্ক বসাবো যে কেউ আর ব্যবসা করতে পারবে না। আমি ভদ্রভাবে বলতে চেয়েছিলাম—আমরা এভাবে ব্যবসা করতে চাই না।” তাঁর বক্তব্যের পর উপস্থিত শ্রোতারা করতালি দেন।
আগেও ট্রাম্প এমন দাবি করেছিলেন, তবে ভারত সে সময় তা অস্বীকার করে। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে ফোনালাপে সংঘাত বা মার্কিন মধ্যস্থতা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। দিল্লি বরাবরই বলছে, পাকিস্তানের অনুরোধে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল, এতে তৃতীয় কোনো পক্ষের ভূমিকা ছিল না।
অন্যদিকে ইসলামাবাদ ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করে সংঘাত বন্ধে তাঁর অবদানকে স্বীকৃতি জানায় এবং তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়নও দেয়।
ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, প্রথমে দুই পক্ষই অস্ত্রবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছিল, তবে দুই দিন পর তারা রাজি হয়। তাঁর ভাষায়, “তারা প্রথমে বলেছিল—না, আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। কিন্তু পরে ফোন করে জানায়, আমরা বুঝতে পেরেছি, যুদ্ধ বন্ধ করছি।”
পরে যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় কিছু পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত এবং রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে। তবে এখন দুই দেশের মধ্যে শুল্ক কমিয়ে বাণিজ্যচুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে।
পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও প্রথমে ২৯ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছিল, পরে তা কমিয়ে ১৯ শতাংশে আনা হয়।
গত এপ্রিল মাসে কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত দাবি করে, হামলার সঙ্গে পাকিস্তানি জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। পাকিস্তান সে অভিযোগ নাকচ করে। এরপর উভয় দেশ বিমান ও ড্রোন হামলায় জড়িয়ে পড়ে, যা চার দিন স্থায়ী ছিল। শেষ পর্যন্ত ১০ মে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
মন্তব্য করুন
