

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও ম্যাচটা ১০ উইকেটের ব্যবধানে জেতার সুযোগ ছিল প্রোটিয়াদের, শেষ মুহূর্তে নোমান আলির স্পিনে হারাতে হয় দুটি উইকেট।
চতুর্থ দিন সকালে ৬৮ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনাররা দারুণ সূচনা করেন। রায়ান রিকেলটন ও এইডেন মারক্রাম গড়ে তোলেন ৬৪ রানের উদ্বোধনী জুটি। জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ৪ রান, তখন নোমান আলির ঘূর্ণিতে পরপর দুই ব্যাটার আউট হলেও রিকেলটন সাজিদ খানকে ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন।
এর আগে, পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিন বোলাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান ব্যাটসম্যানরা প্রোটিয়া স্পিন আক্রমণের সামনে একেবারে অসহায় ছিল। দলটি মাত্র ১৩৮ রানে অলআউট হয়। এতে তাদের লিড দাঁড়ায় মাত্র ৬৭ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সাইমন হারমার নেন ৬ উইকেট, প্রথম ইনিংসের নায়ক কেশভ মাহারাজ নেন ২টি উইকেট, আর কাগিসো রাবাদা পান ১টি উইকেট।
তৃতীয় দিন শেষে ৯৪ রানে ৪ উইকেট হারানো পাকিস্তানের আশা জাগান বাবর আজম। তবে চতুর্থ দিনের শুরুতেই মাত্র ১ রান যোগ করে ৫০ রানে আউট হন তিনি। এরপর আর কেউ প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। সালমান আলি আগা করেন ২৮, মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৮ এবং সাজিদ খান ১৩ রান। অন্যরা ছিলেন ব্যর্থ।
প্রথম ইনিংসেই জয়ের ভিত্তি গড়ে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাটিংয়ে সেনুরান মুথুসামি (৮৯ অপরাজিত) এবং কাগিসো রাবাদা (৭১ বলে ৭১) রান করে দলকে ৪০৪ রানে পৌঁছে দেন। ফলে তারা পাকিস্তানের চেয়ে ৭১ রানের লিড নেয়। এই লিডই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুই ইনিংসে ৯ উইকেট (৭+২) নিয়ে ম্যাচসেরা হন কেশভ মাহারাজ। আর পুরো সিরিজে ১০৬ রান ও ১১ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা নির্বাচিত হন অলরাউন্ডার সেনুরান মুথুসামি।
এই জয়ের মাধ্যমে পাকিস্তান সফর শেষ করলো দক্ষিণ আফ্রিকা ১-১ ড্রয়ে, তবে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে তাদের আধিপত্য ছিল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।
মন্তব্য করুন
