

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সহবাস, স্বপ্নদোষ, ইচ্ছাকৃত বীর্যপাত বা নারীর মাসিক ও প্রসূতি পরবর্তী রক্ত বন্ধ হওয়ার পর গোসল করা ইসলামে ফরজ হিসেবে নির্ধারিত। এ অবস্থায় শরীর অপবিত্র থাকে, তাই যত দ্রুত সম্ভব গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা উত্তম।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন—
“আল্লাহ ভালোবাসেন তাদের, যারা নিজেদের পরিশুদ্ধ রাখে।” (সূরা আত-তাওবা: ১০৮)
কিন্তু অনেকেই ফরজ গোসলের প্রয়োজনীয়তা জানার পরও নানা কারণে দেরি করেন। কেউ কেউ মনে করেন, এতে ভয়াবহ পাপ হয় বা এমনকি সংসারে অকল্যাণ আসে—এমন ধারণাও প্রচলিত আছে। ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে এসব ধারণা কতটা সঠিক?
দ্রুত গোসল করাই উত্তম
প্রখ্যাত ইসলামি বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, “ফরজ গোসল বিলম্ব করা ইসলামী দৃষ্টিতে অনুচিত। নাপাক অবস্থায় মানুষ আল্লাহর রহমত থেকে দূরে থাকে। তাই সুযোগ পেলেই পবিত্রতা অর্জন করা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “কোনো কারণে সঙ্গে সঙ্গে গোসল করা সম্ভব না হলে অন্তত অজু করে নেওয়া সুন্নাহ। তবে অজু না করলেও বড় কোনো গুনাহ হয় না, শুধু এটি সুন্নাহর পরিপন্থী।”
নারীদের বিষয়ে প্রচলিত ধারণা সম্পর্কে তিনি বলেন, “দেরিতে গোসল করলে সংসারে অকল্যাণ হয়—এমন বিশ্বাস সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও কুসংস্কার। ইসলামে নারীদের প্রতি এমন দোষারোপ অন্যায়।”
নামাজ বিলম্বের অজুহাত নয়
রাজধানীর জামিয়া ইকরার ফাজিল মুফতি ইয়াহইয়া শহিদ বলেন, “গোসল এত দেরিতে করা ঠিক নয় যে, পরবর্তী ওয়াক্তের নামাজ কাজা হয়ে যায়। নামাজ কাজা করা বড় গুনাহ। তাই যত দ্রুত সম্ভব গোসল সম্পন্ন করা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “দেরিতে গোসল করলেও গুনাহ হয় না, যদি নামাজ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কারণ, আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন—রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো কখনো জুনুব অবস্থায় অজু না করেই ঘুমাতেন।” (তিরমিজি, হাদিস: ১১৮)
সারসংক্ষেপ
ইসলামি শিক্ষায় ফরজ গোসলের উদ্দেশ্য হলো পবিত্রতা অর্জন ও ইবাদতের উপযুক্ত হওয়া। দেরি করলে বড় গুনাহ না হলেও তা পরিহার করা উত্তম, বিশেষ করে নামাজ যেন বাদ না পড়ে—এ বিষয়েই জোর দিয়েছেন আলেমরা।
মন্তব্য করুন
