

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নির্বাচনের সময় একটি নিরপেক্ষ প্রশাসন গঠনের দাবি দীর্ঘদিনের। সেই প্রেক্ষাপটে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে করা আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একটি ৭ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। বেঞ্চের নেতৃত্বে আছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
আদালতে ড. বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। অন্যদিকে, রাষ্ট্রের পক্ষে থাকবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
এর আগে, ২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি শেষে আপিল করার অনুমতি দিয়েছিল আদালত।
এই অনুমতির ভিত্তিতে, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ মোট পাঁচজন ব্যক্তি আপিল করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদে গৃহীত ১৩তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার জন্য একটি অরাজনৈতিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গঠন করা।
তবে এই সংশোধনী নিয়ে বিরোধিতা ছিল শুরু থেকেই। ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম. সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করে এ ব্যবস্থার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন।
পরে, ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ রায় ঘোষণা করে সেই রিট আবেদন খারিজ করে দেয় এবং স্পষ্টভাবে বলে—তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বৈধ।
এই দীর্ঘ আইনগত ইতিহাস এবং রাজনীতি সংশ্লিষ্ট বিতর্ককে ঘিরেই ফের শুরু হয়েছে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া। এই চূড়ান্ত শুনানির মাধ্যমে ভবিষ্যতে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    