শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদ্যালয়ে ঝাড়ু না দেয়ায় শিক্ষার্থীকে পেটাল দপ্তরি

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪২ এএম আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪৯ এএম
expand
বিদ্যালয়ে ঝাড়ু না দেয়ায় শিক্ষার্থীকে পেটাল দপ্তরি

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বিদ্যালয় ঝাড়ু না দেয়ার কারণে বেদম পিটিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী কাম দপ্তরি। বিচার চাইতে অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে গেলে মব সৃষ্টিকারী বলে অভিহিত করেছেন প্রধান শিক্ষিকা।

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার জেলার বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের ৬০ নং নয়াদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

জানা যায়, নয়াদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু বক্কর সকালে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে নৈশপ্রহরী কাম দপ্তরি জাহিদুল ইসলাম ওই শিক্ষার্থীর হাতে ঝাড়ু ধরিয়ে দিয়ে বিদ্যালয়ের সকল শ্রেণীকক্ষ ঝাড়ু দিতে বলেন।

এসময় শিক্ষার্থী আবু বক্কর ঘর ঝাড়ু দিতে অস্বীকৃতি জানালে দপ্তরি জাহিদুল ওই শিক্ষার্থীর দুই গালে চড় মারেন। এসময় শিক্ষার্থী ভয়ে দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করলে দপ্তরি জাহিদুল আবারো তাকে শারীরিক নির্যাতন করে। শিশুটির চিৎকারে স্থানীয়রা বিদ্যালয়ে ছুটে আসেন।

পরে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে শিশুটির পরিবার ও অভিভাবকরা বিদ্যালয় এসে প্রধান শিক্ষককে অভিযোগ করে বিচার দাবি করেন।

একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাফি জানান, তাদের বিদ্যালয়ের দপ্তরি জাহিদুল প্রতিদিন তাদেরকে দিয়ে স্কুলে ঝাড়ু দিয়ে নেন। এমনকি আমাদের দ্বারা টয়লেট পরিস্কার করা সহ মাঠ পরিস্কার করে নেন। তার হুকুম না মানলে আমাদের চড় থাপ্পর মারা হয়।

ওই শিক্ষার্থীর পিতা জুয়েল ইসলাম বলেন, পড়াশোনা করে উন্নত মানুষ গড়ার জন্য আমাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাই, আর দপ্তরি বিদ্যালয়ে, সন্তানদের দিয়ে ঝাড়ু দেওয়াসহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করান। তার হুকুম মানতে না চাইলে কোমলমতি শিশুদের প্রহার করে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। আমি একজন অভিভাবক হিসেবে নিজেকে ভীষণ অসহায় বোধ করছি। আর যেন এরকম ঘটনা না ঘটে সে কারণে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা খালেদা বেগম জানান, এরকম কোন ঘটনা তিনি শোনেননি বা জানেননা। বিদ্যালয় উপস্থিত ব্যক্তিরা সকলকে মব সৃষ্টিকারী বলে তিনি অভিহিত করেন।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি, তবে কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের গায়ে শিক্ষকরাই হাত তুলতে পারবেন না বলে জানান তিনি।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন