

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


গাজীপুরের টঙ্গী টিএন্ডটি এলাকার বিটিসিএল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি মুহিবুল্লাহ মাদানী নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর পঞ্চগড় থেকে লোহার শিকলে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হেলিপ্যাড বাজার এলাকার একটি সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে হাত-পা শিকলবন্দি অবস্থায় তাকে দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে।
তার ছেলে আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, আমার বাবাকে শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। এখন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর আগে বুধবার সকালে ফজর নামাজের পর হাঁটতে বের হয়ে নিখোঁজ হন মুফতি মাদানী। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান না পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুফতি মাদানী দীর্ঘদিন ধরে জুমার খুতবায় সমাজে ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয়, পারিবারিক অনৈতিকতা, আন্তধর্মীয় সম্পর্ক ও ইসলামী আদর্শ রক্ষার বিষয়ে বয়ান দিতেন। বিশেষ করে তিনি ইসকনসহ কিছু সংগঠনের কার্যক্রম এবং মুসলিম তরুণীদের বিপথে নেয়ার বিষয়ে সতর্কতা দিতেন বলে জানা যায়।
এই বয়ানের পর থেকেই তিনি অজ্ঞাত সূত্র থেকে একাধিক হুমকি চিঠি পান, যা তিনি মসজিদ কমিটিকেও জানিয়েছিলেন।
বুধবার সকালে তিনি স্বাভাবিক নিয়মে হাঁটতে বের হলেও আর বাসায় ফেরেননি। সকাল ১১টা পর্যন্ত তার মোবাইল ফোন সচল থাকলেও এরপর হঠাৎ সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি মো. আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, মাওলানা মুহিবুল্লাহ মাদানীকে আমরা উদ্ধার করেছি। তার হাত-পা লোহার শিকলে বাঁধা ছিল এবং তিনি অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের অনেকে বলছেন, ঘটনাটি পরিকল্পিত অপহরণ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অংশ হতে পারে। পুলিশ বলেছে, মুফতির অবস্থার উন্নতি হলে তার কাছ থেকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
উল্লেখ্য, টঙ্গী এলাকায় ধর্মীয় বিষয়ের বক্তা ও ইমামদের ওপর আগে একাধিকবার হুমকির ঘটনা ঘটেছে। মুফতি মাদানীর অপহরণ ও উদ্ধার ঘটনাটি এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    