শনিবার
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শনিবার
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাকির নায়েক ঢাকায় পা রাখলেই যেন আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়: ভারত

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২০ পিএম
ড. জাকির নায়েক
expand
ড. জাকির নায়েক

ডা. জাকির নায়েক আসন্ন নভেম্বরে ঢাকায় আসার কথা জানালেও, ভারত চাইছে, তিনি মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে পৌঁছালে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সম্প্রতি দেশটির গণমাধ্যমকে মন্তব্য করেছে। তবে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় তিনি পা রাখলেই তাকে যেন ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়, বাংলাদেশের কাছে এমন কিছুই আশা করছে ভারত।

গত ৩০ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বলেন, জাকির নায়েক ভারতের কাছে পলাতক আসামি। তিনি দেশে ওয়ান্টেড। আমরা আশা করি, যেখানে তিনি থাকবেন, সংশ্লিষ্ট দেশ তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগগুলো বিবেচনায় রাখবে।

ডা. নায়েক ২০১৬ সালের আগ পর্যন্ত ভারতে অবস্থান করতেন। তিনি বিভিন্ন ইসলামিক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। তবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের সময়, তার বিরুদ্ধে ‘ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার’ ও অর্থ পাচারের মামলাসহ একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়। পাশাপাশি, তার নিয়ন্ত্রিত পিচ টিভি চ্যানেলের সম্প্রচারও বন্ধ করা হয়।

এরপর, ৬০ বছর বয়সি ধর্মপ্রচারক ২০১৬ সালে ভারত ছেড়ে মালয়েশিয়ায় যান এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পান। ভারতে ফেরার বিষয়ে জাকির নায়েক একাধিকবার বলেছেন, “আমি দেশে ফিরব না যতক্ষণ ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা পাব না।” মালয়েশিয়ায় থাকায় তিনি ভারতের বিচারিক আওতার বাইরে আছেন।

ডা. নায়েক আগামী ২৮ ও ২৯ নভেম্বর ঢাকায় একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। আয়োজন করছে স্পার্ক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, এবং অনুষ্ঠান স্থানের সম্ভাব্য অবস্থান আগারগাঁও এলাকায়।

ভারতের নজরদারি ও পরামর্শে, বাংলাদেশও ২০১৬ সালে তার ওপর প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সে সময় ঢাকার হলি আর্টিজান হামলার পর দেখা যায়, হামলাকারীদের মধ্যে অন্তত দু’জন জাকির নায়েকের বক্তৃতা থেকে প্রভাবিত ছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার শাসনকাল শেষে ওই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে।

এবার, জাকির নায়েক ঢাকায় এলে ভারতের আশা, বাংলাদেশ তার আইনি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তাকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করবে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন