

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কাউখালী উপজেলায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে এলজিইডির বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন না করে ঠিকাদাররা বরাদ্দকৃত অর্থ তোলার অভিযোগে জড়িত। ইতিমধ্যে দুদক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও এলজিইডির কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে রাস্তা, গার্ডার ব্রিজ, সাইক্লোন শেল্টার ও ড্রেন নির্মাণসহ প্রায় ২৫ থেকে ২৮টি প্রকল্প শুরু হলেও অধিকাংশ কাজ শেষ না করেই ঠিকাদাররা অর্থ তুলে নিয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই অনিয়মে কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা সম্পৃক্ত ছিলেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে ঠিকাদাররা কাজ ফেলে উধাও হয়। এতে উন্নয়ন কার্যক্রম থমকে যায় এবং স্থানীয়রা চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। অনেক জায়গায় শুধু পাইলিং করা হয়েছে, কোথাও রাস্তা খুঁড়ে ইট-বালু ফেলে রাখা হয়েছে, যা যান চলাচল ও হেঁটেও চলাচল কঠিন করেছে।
এলজিইডির আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে—জিওবিএম, বিজেপি, আইবিআরপি, আইআরআইডিপি-৩, সিসিটিএফ, আইপিসিপি, পিডিআরআইডিপি ও ডিআরআরআইডব্লিউপি। এর মধ্যে বিজেপি প্রকল্পের অধীনে মোল্লারহাট সাপলেজা সড়ক ও পারসাতুরিয়া আদম আলী ব্রিজসংলগ্ন সড়ক ও ব্রিজের কাজ ২০২২ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইফতি ইটিসিএল অর্ধেক কাজ করে বন্ধ রেখেছে।
আইবিআরপি প্রকল্পের আওতায় শিয়ালকাঠি ইউপির সামনে ৬ কোটি টাকার গার্ডার ব্রিজের কাজও পাইলিং পর্যায়ে আটকে আছে। পারসাতুরিয়া, সালেকিয়া মাদ্রাসা, সয়না রঘুনাথপুর, জয়কুল খেয়াঘাট, চিরাপাড়া সুবিদপুর, জোলাগাতি ফলইবুনায়া ও কেউন্দিয়া সড়কের ব্রিজগুলোতেও একই অবস্থা দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, অধিকাংশ কাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন সাবেক এমপি মহিউদ্দিন মহারাজ এবং তার ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজ হোসেন। আইআরআইডিপি-৩ প্রকল্পের চিরাপাড়া জিএম স্কুল-ডুমজুড়ি সড়ক আংশিকভাবে ফয়সাল এন্টারপ্রাইজ সম্পন্ন করেছে। ইফতি ইটিসিএল হোগলাবেতকা বাজার থেকে পুলেরহাট সড়কের কাজও শেষ করেনি।
জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে শিয়ালকাঠি দারুদ সুন্নাত কামিল মাদ্রাসার সাইক্লোন শেল্টার এবং সোনাকুর ফেরিঘাট সড়ক নির্মাণও অসমাপ্ত। হোগলা হাইস্কুল থেকে নান্না মেম্বার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা, চিরাপাড়া সুবিদপুর রোড ও রঘুনাথপুর মেঘপাল সড়কেও অল্প কাজ করে বন্ধ রাখা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকার বরাদ্দের অর্থ তুলে নিয়ে ঠিকাদাররা লাপাত্তা হয়ে গেছে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইমতিয়াজ হোসেন জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানেন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত কাজ শেষ করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিয়মিত মনিটরিং করছে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    