

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, জোট গঠন, আসন ভাগাভাগি ও প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা আরও বাড়ছে।
একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, বিএনপি চায় আমরা জামায়াতের সঙ্গে কোনো অবস্থাতেই না যাই। এজন্য তারা অন্তত ২০টি আসনে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ মন্ত্রিসভায় অংশীদার হওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছে।
তবে এনসিপি এখনো এসব বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
দলীয় নেতারা জানান, আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, ডা. তাসনিম জারা, আরিফুল ইসলাম আদিব, সামান্থা শারমিন ও নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ বেশ কয়েকজন নেতা ঢাকাসহ বিভিন্ন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
তাছাড়া সদস্য সচিব আখতার হোসেন (রংপুর), সারজিস আলম (পঞ্চগড়), হাসনাত আবদুল্লাহ (কুমিল্লা) নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। দল ছাড়িয়ে আসা দুই সাবেক ছাত্রনেতার জন্যও বিশেষ পদ ও আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, নাহিদ ইসলাম— ঢাকা-৯ বা ১১ (সবুজবাগ-মতিঝিল-ডেমরা), আদিব— মিরপুর, তাসনিম জারা— ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জ), নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী— উত্তরা, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত— ঢাকা-১৯, আসাদুল ইসলাম মুকুল— ঢাকা-২০, খান মো. মোরসালিন— ঢাকা-৬
এছাড়া রাজধানীর আরও কয়েকটি আসনে দলের নেতারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দলীয় বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর আচরণে তেমন পরিবর্তন আসেনি। “হাট-মাঠ-ঘাট” দখলের সংস্কৃতি আগের মতোই চলছে। অথচ জুলাইয়ের উত্তাল গণ-অভ্যুত্থানে মানুষ রাজনৈতিক পরিবর্তনের আশায় জীবন উৎসর্গ করেছিল।
দলের একাংশ মনে করে, জুলাইয়ের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হলে এনসিপিকে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক বলয়ের বাইরে থেকে নতুন ধারা গড়ে তুলতে হবে। স্টাবলিশমেন্টের প্রভাব কাটিয়ে ওঠাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
তাদের মতে, এনসিপি যদি ক্ষমতার রাজনীতিতে গা ভাসায়, তবে দলটির অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়বে। তাই তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ— এই নির্বাচনে এনসিপি নিজস্ব পরিচয় ও অবস্থান অক্ষুণ্ণ রেখেই মাঠে নামবে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    