

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বরগুনার আমতলীতে নৌবাহিনী ও উপজেলা মৎস্য বিভাগের জব্দকৃত প্রায় ১৫০০ কেজি জাটকা ইলিশ থানার ভেতর থেকে লুট হওয়ার ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন আমতলী থানা পুলিশ ও মৎস্য বিভাগ।
আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, মৎস্য বিভাগ একটি সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করেছে, পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকেও আরেকটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করা হয়েছে। সাধারণ ডায়েরি ওপর ভিত্তি করে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ও সংবাদের ভিডিও এবং থানার সিসিটিভির ফুটেজ ভিডিও আমাদের কাছে রয়েছেন।
তাৎক্ষণিক ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের গাফিলতি ও সমন্বয়হীনতাকেই এ ঘটনার জন্য দায়ী করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু জেলে মাছ ধরছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নৌবাহিনী ও উপজেলা মৎস্য বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৫০০ কেজি জাটকা জব্দ করে থানায় মজুদ রাখে। (৭ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে এতিমখানায় বিতরণের প্রস্তুতি চলাকালে দুই শতাধিক লোক থানায় ঢুকে সমস্ত মাছ লুট করে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশের সামনেই মাছ লুট হয়েছে, কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় কুমার বলেন, বিতরণের সময় শতাধিক অপরিচিত লোক হঠাৎ এসে মাছ লুট করে।
ওসি জগলুল হাসান বলেন, অর্ধেক মাছ বিতরণ করা হয়েছে, বাকি অর্ধেক জনতা নিয়ে গেছে—ঠেকানোর চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, থানা একটি সুরক্ষিত স্থান। যদি এমন কিছু ঘটে থাকে, তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন