

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ |(ডাকসু) -এর কার্যনির্বাহী সদস্য সর্বমিত্র চাকমা সম্প্রতি বৃহস্পতিবার সকালে একটি ভিডিও আপলোড করেন, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, একজন বয়স্ক লোক দ্রুত দৌড়ে পালাচ্ছেন এবং তার পেছনে একজন তরুণ ছেলে সেই বয়স্ক লোকটিকে ধরার জন্য ছুটছে।
জানা যায়, বয়স্ক লোকটি ঐ তরুণের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল।
মাঝপথে ছেলেটির সঙ্গে সর্বমিত্র চাকমার দেখা হয়।
তরুণটি সর্বমিত্রকে চিনতে পেরে (ডাকসু সদস্য কিনা জিজ্ঞাসা করে) তার কাছে সাহায্য চান এবং বলেন: "ভাই, এই লোক আমার মোবাইল কেড়ে নিয়েছে। কিছু একটা করেন।"
জবাবে সর্বমিত্র চাকমা হেসে বলেন, মুরব্বী মানুষ যা করেছেন, ভালো করেছেন। সিনিয়র সিটিজেন। তাদের সম্মান জানানো উচিত।
তরুণটি তখন বিস্ময় প্রকাশ করে জানতে চায়, কিন্তু আমার মোবাইল, আমার মোবাইল নিয়ে গেছে ভাইয়া?"
সর্বমিত্র পুনরায় বলেন: আরে মুরব্বী মানুষ...
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শেহরিন আমিন ভূঁইয়া মোনামি ভিডিওটি তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে শেয়ার করে বিতর্কের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেন। তিনি ক্যাপশনে লেখেন, অনেক চেষ্টা করেছি ‘WOKE’ দের attack-এর ভয়ে শেয়ার না দিতে। কিন্তু পারলাম না! ভাই, এটা কী ছিলো?
সর্বমিত্র চাকমার এই মন্তব্যটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পক্ষে-বিপক্ষে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ এটিকে ব্যঙ্গাত্মক রসিকতা বা স্যাটায়ার হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকেই এমন পরিস্থিতিতে ডাকসু সদস্যের এ ধরনের বক্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে সমালোচনা করছেন।
কিন্তু পারলাম নাহ! ভাই, এটা কী ছিল?
সর্বমিত্র চাকমার এই ভিডিওটি নতুন করে আলোচনার জন্ম দিচ্ছে, পাওয়া যাচ্ছে পক্ষে-বিপক্ষে নানা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন এলাকায় দুই সপ্তাহ ধরে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছেন ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বাধীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নেতারা। ‘অবৈধ’ দোকান, উদ্বাস্তু, ভবঘুরে ও নেশাগ্রস্তদের উচ্ছেদ করছেন তারা।
এ সময় মারধর, হেনস্তা, ব্যক্তিগত গোপনীয় লঙ্ঘন করার অভিযোগও রয়েছে। সেসব নিয়ে শুরুর দিন থেকেই আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
মানবিক দিকের পাশাপাশি অভিযানের এখতিয়ার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
শুরুতে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুয়ায়েরকে এতে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়। কয়েক দিন পর সক্রিয়ভাবে উচ্ছেদ অভিযানে দেখা যায় সদস্য সর্বমিত্র চাকমাকে।
জুবায়েরকে আর সেভাবে দেখা যায়নি। বিতর্কের কেন্দ্রে চলে আসেন সর্বমিত্র। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে লাঠি হাতে এক বৃদ্ধকে শাসানোর ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
