

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এ বছর (২০ জানুয়ারি) পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার ভিসা বাতিল করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, ভিসা বাতিলের মূল কারণ হলো ভিসাধারীদের দ্বারা সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।
তিনি উল্লেখ করেন, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, হামলা এবং চুরিসহ গুরুতর বিভিন্ন অপরাধের কারণে এসব ভিসা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
'ওয়াশিংটন এক্সামিনার'-এর প্রতিবেদন অনুসারে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কঠোর অভিবাসন নীতিকে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন বৈধ ভিসাধারীসহ বিপুল সংখ্যক অভিবাসীকে বহিষ্কার করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই বিপুল সংখ্যক বহিষ্কারের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ইতিহাসে এক নজিরবিহীন কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রায় ১৬ হাজার ভিসা বাতিল করা হয়েছে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য, ১২ হাজার ভিসা হামলার কারণে এবং আট হাজার ভিসা চুরির অভিযোগে। এ তিনটি অপরাধই এ বছরের মোট ভিসা বাতিলের প্রায় অর্ধেকের জন্য দায়ী।
রয়টার্স জানিয়েছে, গত মাসে জানানো হয়, রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্কের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করার কারণে অন্তত ছয়জনের ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
গত আগস্টে পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছিল, আইন ভঙ্গ ও মেয়াদোত্তীর্ণ থাকার অভিযোগে ছয় হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ভিসা বাতিল করা হয়েছে, যার মধ্যে অল্প সংখ্যক ‘সন্ত্রাসবাদে সমর্থন’-এর অভিযোগও ছিল।
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, যারা ফিলিস্তিনপন্থি বক্তব্য দিচ্ছেন বা গাজার যুদ্ধে ইসরায়েলের সমালোচনা করছেন, তাদের মধ্যে ছাত্র ভিসাধারী ও গ্রিন কার্ডধারীরাও রয়েছেন-এদের যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির জন্য হুমকি এবং ‘প্রো-হামাস’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
মে মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, শত শত এমনকি হাজার হাজার মানুষের ভিসা বাতিল করা হয়েছে, যাদের কর্মকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির পরিপন্থি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনায় বিদেশে কর্মরত মার্কিন কূটনীতিকদের যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী মনোভাব বা রাজনৈতিক সক্রিয়তার ইতিহাস থাকা আবেদনকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
