

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে পে কমিশন। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী সংগঠন তাদের প্রস্তাবনা জমা দিচ্ছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন প্রস্তাব দিয়েছে সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ এবং বিদ্যমান গ্রেড সংখ্যা ২০ থেকে কমিয়ে ১২-তে আনার।
ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, “আমরা প্রস্তাব করেছি সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকায় উন্নীত করার এবং বেতন গ্রেড সংখ্যা কমানোর। সর্বশেষ পে স্কেল চালু হয়েছিল ২০১৫ সালে, যা ২০২০ সালে হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। ফলে কর্মচারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “যদি নিয়মিতভাবে বেতন কাঠামো হতো, তাহলে ২০২০ সালে বেতন দ্বিগুণ হতো এবং ২০২৫ সালে তা প্রায় ৩৩ হাজার টাকায় পৌঁছাত। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কথা বিবেচনা করেই আমরা ৩৫ হাজার টাকার প্রস্তাব দিয়েছি।”
আব্দুল মালেক জানান, বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৈষম্য ১:১০ অনুপাতে রয়েছে, যা কমিয়ে ১:৪ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
তার মতে, পে স্কেল প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পর্যালোচনা করা উচিত, কিন্তু ২০২০ ও ২০২৫—দুই সময়েই তা হয়নি, যার কারণে কর্মচারীরা বড় ধরনের আর্থিক চাপের মুখে পড়েছেন।
তিনি বেসরকারি খাতের বেতন বৃদ্ধির ওপরও গুরুত্ব দেন। বলেন, “একজন ব্যক্তি যদি দিনে তিনবেলা সাধারণ খাবার খান, তার খরচ হয় প্রায় ১৫০ টাকা।
ছয় সদস্যের একটি পরিবারের মাসিক ন্যূনতম খরচ দাঁড়ায় প্রায় ২৭ হাজার টাকা। বাসা ভাড়া, চিকিৎসা ও শিক্ষা ব্যয় যোগ করলে ৫০ হাজার টাকাতেও টিকে থাকা কঠিন।”
এ বিষয়ে পে কমিশনের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি. আর. আবরার জানান, কমিশন আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে সরকারের কাছে চূড়ান্ত প্রস্তাব দেবে।
তিনি বলেন, “বর্তমানে যে আলোচনা চলছে, তাতে দেখা যাচ্ছে বেতন ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।”
মন্তব্য করুন
