

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ভেনেজুয়েলায় গুপ্তচর বা সামরিক তৎপরতার জন্য মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএকে (CIA) অনুমোদন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৫ অক্টোবর) হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি প্রথমবারের মতো সরাসরি স্বীকার করলেন যে, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে গোপন অভিযান চালাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত।
গত কয়েক সপ্তাহে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌযানের বিরুদ্ধে পাঁচটি হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যাতে এখন পর্যন্ত ২৭ জন নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই ঘটনাগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান: শুধু সমুদ্র নয়, এবার স্থলভাগেও অভিযান?
হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প জানান, ভেনেজুয়েলার মাদক পাচার বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র সমুদ্রপথের পাশাপাশি স্থলভাগেও অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, ভেনেজুয়েলা তাদের কারাগারগুলো খালি করে বন্দীদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দিচ্ছে। সেইসাথে, প্রচুর পরিমাণে মাদক আমাদের দেশে প্রবেশ করছে। এর বড় একটা অংশ আসে সমুদ্রপথে, তবে স্থলপথেও তা থামানো হবে।
নিউইয়র্ক টাইমস প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এই অনুমোদনের ফলে সিআইএ এখন চাইলেই একতরফাভাবে অথবা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর অংশ হিসেবে ভেনেজুয়েলায় অভিযান চালাতে পারবে।
যদিও সিআইএ এরই মধ্যে দক্ষিণ আমেরিকায় দীর্ঘ সময় ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে, তবে এবার সরাসরি প্রেসিডেন্টের অনুমোদন বিষয়টিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।
ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে থাকা সাংবাদিকদের কেউ একজন প্রশ্ন করেন, আপনি কেন সিআইএকে ভেনেজুয়েলায় পাঠানোর অনুমতি দিয়েছেন?
এর উত্তরে ট্রাম্প বলেন, দুটি গুরুত্বপূর্ণ কারণে আমি অনুমতি দিয়েছি। প্রথমত, ভেনেজুয়েলা তাদের কারাগার খালি করে অপরাধীদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, দেশটি থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক আমাদের দেশে ঢুকছে।
ভেনেজুয়েলার বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরানো সিআইএর লক্ষ্য কি না—এ প্রশ্নের জবাবে সরাসরি কিছু বলেননি ট্রাম্প।
তবে আগে থেকেই মাদুরোর অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিলে ৫০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা এই সন্দেহকে আরও ঘনীভূত করেছে যে, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনা অনেক আগেই শুরু হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক অভিযানগুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘের একাধিক মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এই ধরনের আক্রমণ আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকার চুক্তির পরিপন্থী হতে পারে।
মন্তব্য করুন
