

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ঘন ও বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের তুলনায় শহরের বায়ুদূষণের মাত্রা সোমবার ১৬ গুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
দিল্লিতে প্রায় তিন কোটি মানুষ বসবাস করছেন। শীতকাল আসলেই শহরটি ভয়ঙ্কর দূষণের মধ্যে পড়ে। ঠান্ডা বাতাস দূষণকারী কণা মাটির কাছাকাছি আটকে রাখে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। খড় পোড়ানো, শিল্প কারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়া একত্রিত হয়ে প্রাণঘাতী পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দীপাবলি উৎসব এবং আতশবাজি বায়ুদূষণ আরও তীব্র করেছে। যদিও দিল্লি সুপ্রিম কোর্ট কম ক্ষতিকর ‘সবুজ আতশবাজি’ অনুমোদন দিয়েছিল, তা অনেকাংশে উপেক্ষিত হয়েছে।
এয়ার কোয়ালিটি তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘আইকিউএয়ার’-এর তথ্য অনুযায়ী, শহরের কিছু এলাকায় প্রতি ঘনমিটারে পিএম ২.৫ কণার মাত্রা ২৪৮ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছেছে। এই ক্ষুদ্র কণা রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ভারত সরকার জানিয়েছে, আসন্ন দিনগুলোতে বায়ু মান আরও খারাপ হতে পারে। বাতাসের দূষণ নিয়ন্ত্রণে ডিজেল জেনারেটরের ব্যবহার সীমিত করার এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রথমবারের মতো নয়াদিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’-এর পরীক্ষামূলক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে আকাশে রাসায়নিক প্রয়োগ করে কৃত্রিমভাবে বৃষ্টি নামিয়ে দূষণ কমানোর চেষ্টা করা হবে। ইতোমধ্যেই পরীক্ষামূলক বিমান ও পাইলট প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী মনজিন্দর সিং সিরসা।
গবেষণা অনুযায়ী, ২০০৯-২০১৯ সালের মধ্যে ভারতে বায়ুদূষণের কারণে প্রায় ৩.৮ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইউনিসেফও সতর্ক করেছে, দূষিত বাতাসে শিশুদের শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
মন্তব্য করুন
