

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পাকিস্তানের করাচির সঙ্গে সরাসরি আকাশযোগ পুনঃচালুর প্রক্রিয়া দ্রুত এগোচ্ছে। পাকিস্তানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ইকবাল হুসাইন খান জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সপ্তাহে তিনটি নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ফরেন সার্ভিসেস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ তথ্য জানান। জিও নিউজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ভারতের আকাশপথ ব্যবহার করা যাবে কি না এমন প্রশ্নে ইকবাল হুসাইন খান বলেন, ভারতীয় উড়োজাহাজ যেমন বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারে, তেমনি বেসামরিক বিমান চলাচলের নিয়ম অনুযায়ী বিমান বাংলাদেশও ভারত হয়ে পাকিস্তানে যেতে পারবে।
অন্যদিকে, কূটনৈতিক সূত্র বলছে ভারতের আরোপিত আকাশপথ নিষেধাজ্ঞার কারণে পাকিস্তানি এয়ারলাইন্সগুলো আপাতত ঢাকা রুটে ফ্লাইট চালানোর অনুমতি পাচ্ছে না।
এর আগে হাইকমিশনার প্রশিক্ষণরত তরুণ কূটনীতিকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি আঞ্চলিক সংযোগ, বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও রাজনৈতিক বাস্তবতা নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় সম্ভাবনা বিশাল হলেও সীমান্তনীতি, প্রবেশাধিকারের সীমাবদ্ধতা ও আঞ্চলিক রাজনীতির জটিলতা অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে আটকে রাখছে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও উন্নত হতে পারে—কিন্তু সরাসরি যোগাযোগের অভাবই বড় বাধা।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, একসময় রেলপথের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ছিল খুবই সহজ। এখন পাকিস্তানের খেজুরসহ বিভিন্ন পণ্য আঞ্চলিক বাজারে পৌঁছায় দুবাই হয়ে যা সময় ও ব্যয় দুই-ই বাড়ায়। ইতিহাসে কাবুল, পেশোয়ার, ঢাকা থেকে মিয়ানমার পর্যন্ত অঞ্চলগুলো পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত ছিল, অথচ আজ ভৌগোলিক সংযোগই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
ইকবাল হুসাইন খান মনে করেন, দক্ষিণ এশিয়ার নতুন প্রজন্ম আরও সচেতন ও পরিবর্তনমুখী। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের রাজনৈতিক পরিবর্তন বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে নতুন আশা তৈরি করেছে। ভবিষ্যতে নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে পুরোনো জটিলতা দূর হবে, আঞ্চলিক সংযোগ বাড়বে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন পথ খুলবে—এমনটাই তার প্রত্যাশা।
মন্তব্য করুন

