

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের আগে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বক্তব্যে রিজভী বলেন, এক দেড় ঘণ্টার মধ্যে ফেসবুকে দিয়ে দিলেন- তার মানে কি ঠাকুর ঘরে কেড়ে, আমি কলা খাইনির মতো অবস্থা না? আপনি ঘোরার আগে গাড়ি জুড়িয়ে দিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রনেতা এখন…।
তিনি বলেন, আজকে পুলিশ কমিশনার বলছে যে হাদির ওপর হত্যাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে, সে শিবিরের লোক। এখন আমি বলি, এটা তো বিএনপির কোনো নেতার স্টেটমেন্ট না।
এটা যারা তদন্তকারী কর্মকর্তা রয়েছেন, যারা রাষ্ট্রের আইনের স্বীকৃত সংস্থা, তারা বলছেন। এখন ফেসবুকে কী লিখবেন, আমি সেই ছাত্রনেতাকে জিজ্ঞেস করতে চাই।
রিজভী বলেন, তদন্ত হলো না, কিছু হলো না। এই এলাকায় বারবার এলেন মেয়র।
তার সামাজিক অবস্থান, তার জাতীয় রাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনা না করেই আপনি কেবল ইউনিভার্সিটির একটি ছাত্রনেতা হয়েছেন।
আপনার চেয়ে ৩৬ বছর আগে আমরা ছাত্রনেতা, আরেকটি বড় ইউনিভার্সিটির ভিপি হয়েও আমরা কোনো অন্য দলের সিনিয়র নেতাকেও এই ধরনের বাজে কথা বলে কখনো অভিহিত করিনি। আর আপনারা এটা করে দিলেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলাকারী জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে জড়িত। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রনেতা তদন্তের আগেই মির্জা আব্বাসের নাম বলে দিলেন।
রিজভী বলেন, শুধু একটি প্রশ্নই করবো। ঘটনার এক ঘণ্টা পরই ফেসবুকে একটি পক্ষ মির্জা আব্বাসকে গ্যাংস্টার বলেছে। এক ঘণ্টা পরই ঠাকুর ঘরে কেড়ে আমি কলা খাই না। কই, তাদের ওপর তো কোনো ধরনের হামলা হয়নি।
রিজভী অভিযোগ করেন, হাদির ওপর সন্দেহভাজন হামলাকারী আগে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিল।
দেখা গেছে, সে সাদিক কায়েমের সঙ্গে একই টেবিলে বসে চা খাচ্ছে। যারা একাত্তরে গণহত্যা ও মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে, তাদের তো বিবেকবোধ বলে কিছু নেই।
তিনি বলেন, একটি মহল পাঁচ আগস্টের পর মব কালচার তৈরি করেছে। এই ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের নায়ক তারা। এখন তা প্রকাশ হয়েছে। আমরা অবিলম্বে এ ঘৃণ্য হামলার বিচার চাই।
মন্তব্য করুন

