

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
এই নির্বাচনই নতুন বাংলাদেশের দ্বার খুলে দেবে। আমরা যারা দায়িত্বে আছি, বিশেষ করে এসপিরাতারা যেন এই নতুন পথচলার ‘ধাত্রীর’ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সব জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনকালীন দায়িত্ব, মাঠপর্যায়ের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে এসপিদের দিকনির্দেশনা দিতেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
বক্তব্যে তিনি জানান, পরিবর্তনের এই যাত্রা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘটে যাবে না; বরং সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সক্রিয় ভূমিকার মাধ্যমেই এটি বাস্তব হবে।
এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন,অতীতের কিছু নির্বাচনকে কেউ কেউ প্রহসন বা প্রতারণা বলেছেন। এবার সেই ধারণা বদলে দিতে হবে। প্রমাণ করতে হবে, পরিবর্তন সত্যিই সম্ভব।
তাঁর মতে, দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে এসপি নিয়োগের কারণ ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এই প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ তৈরি করলেও ইতিহাসগড়া দায়িত্ব পালনের সুযোগও এনে দিয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
নির্বাচনে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যবেক্ষক দলগুলোর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন এমন হওয়া উচিত যা তারা বিশ্বমঞ্চে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন।
এটি এমন একটি নির্বাচন হতে হবে, যা তারা বলবেবাংলাদেশে আমরা এক স্মরণীয় নির্বাচন দেখেছিলাম।
তিনি মনে করিয়ে দেন, এটি কেবল পাঁচ বছর পরপর অনুষ্ঠিত নিয়মিত নির্বাচন নয় এই নির্বাচন এসেছে এক গণঅভ্যুত্থানের পরপরই। যারা সেই আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন, তাদের আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব বহন করে বলেও তিনি মত দেন।
দেশের ভবিষ্যৎ কাঠামো তৈরি করার সুযোগ হিসেবেও তিনি নির্বাচনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। তাঁর ভাষায়, যে নতুন সমাজ গড়ে উঠবে, তার ভিত্তি বা ‘বিল্ডিং কোড’ স্থাপন হবে এই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই। এমন কাঠামো হবে, যা যুগের পর যুগ অটুট থাকবে।
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, আনাস তার দায়িত্ব ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে সবাইকে কর্তব্যের পথ দেখিয়ে গেছেন। এসপিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তোমাদের কর্মস্থলে যাওয়ার আগে যেন সেই চিঠিটা চোখের সামনে থাকে। সেটিই দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলবে।
এসপি নিয়োগে এলোমেলো নির্বাচন (দ্বৈবচয়ন) পদ্ধতি নেওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, পক্ষপাতিত্বের সম্ভাবনা দূর করাই ছিল মূল লক্ষ্য। যাতে কেউ মনে না করে মানুষ দেখিয়ে নির্বাচন হয়েছে। যেখানে যার নাম্বার পড়েছে, সেখানে গিয়ে দায়িত্ব পালন করবে এই চিন্তা থেকেই সিদ্ধান্ত।
প্রধান উপদেষ্টা পুনর্ব্যক্ত করেন নতুন বাংলাদেশ গঠনের যাত্রা এই নির্বাচনের মাধ্যমেই শুরু হবে। এই জন্ম প্রক্রিয়াকে সফল করতে হবে দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে। তোমাদের হাতেই নতুন বাংলাদেশের প্রথম পদক্ষেপ।
মন্তব্য করুন

