

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বিশ্বকাপ আসলেই বাংলাদেশের আকাশে উড়তে শুরু করে আকাশি-সাদা পতাকা। দেশের অগণিত সমর্থক মেতে ওঠেন আর্জেন্টিনার জার্সিতে।
২০২২ সালের বিশ্বকাপে সেই ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়ে হাজার মাইল দূরে লাতিন আমেরিকায়। সেই থেকেই শুরু হয় আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে এক ধরনের ভ্রাতৃসুলভ সম্পর্ক।
এই আত্মিক বন্ধন আরও একধাপ এগিয়ে গেল—বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের সঙ্গে নতুন এক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (AFA)। এর মাধ্যমে ওয়ালটন এখন বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের আঞ্চলিক পৃষ্ঠপোষক।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ ঘোষণা দেয় আর্জেন্টিনার জাতীয় দল। ঘোষণায় তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে—বাংলাদেশের মানুষের অফুরন্ত সমর্থনের কথা, যা ২০২২ বিশ্বকাপজুড়ে বিশ্বজুড়ে আলোচিত হয়েছিল।
পোস্টে তুলে ধরা হয় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় পর্দায় খেলা দেখার দৃশ্য, মুহসিন হল মাঠ, টিএসসি, পতাকায় ছাওয়া ছাদ, আর আকাশি-সাদা জার্সির ঢল। এমন দৃশ্য বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসার পর বিষয়টি নজরে আসে আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনিরও। তিনি সে সময় বাংলাদেশের মানুষের প্রতি প্রকাশ করেন বিশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই চুক্তির মাধ্যমে শুধু বিজ্ঞাপন বা প্রচারই নয়, বরং দুই দেশের ক্রীড়াবান্ধব সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হলো। ২০২৩ সালেও আর্জেন্টিনার সঙ্গে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান বিকাশ। সেই চুক্তির মাধ্যমেও বিকাশ হয়েছিল আঞ্চলিক পৃষ্ঠপোষক।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার ওয়ালটনের যুক্ত হওয়া ফুটবল ভক্তদের জন্য এক অনন্য বার্তা—বাংলাদেশের বাজার যে আর্জেন্টিনার মতো বড় দলগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে, তারই প্রতিফলন এটি।
ওয়ালটনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা শুধুমাত্র পৃষ্ঠপোষকতাই নয়, বরং বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ফুটবল সংস্কৃতি গড়ে তুলতে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করতে চায়। এই চুক্তিকে তারা দেখছে একটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করার সুযোগ হিসেবে।
২০২২ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের উন্মাদনা দেখে আর্জেন্টিনা অবাকই হয়েছিল। বহু আর্জেন্টাইন সাংবাদিক, ফুটবলবোদ্ধা সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসা করেন বাংলাদেশের মানুষের আবেগের।
এখন সেই আবেগ শুধু ভালোবাসার জায়গায় সীমাবদ্ধ নেই, তৈরি হয়েছে বাস্তবিক অংশীদারিত্ব—বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড।
মন্তব্য করুন
