

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মোহালির মুল্লানপুরে অনুষ্ঠিত পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫১ রানের বড় ব্যবধানে হেরে অস্বস্তিকর এক রাত কাটিয়েছে ভারতীয় দল।
ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই ব্যর্থতার প্রমাণ রেখে ম্যাচটি শেষ হওয়ায় একাধিক লজ্জার রেকর্ডও যোগ হয়েছে ভারতের নামের পাশে।
বৃহস্পতিবার রাতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ধারিত ২০ ওভারে ২১৩ রানের শক্তিশালী সংগ্রহ গড়ে। ব্যাট হাতে সবচেয়ে আগ্রাসী ছিলেন কুইন্টন ডি কক। ৪৬ বল মোকাবিলা করে ৯০ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত পুরো ২০ ওভারও টিকতে পারেনি। ব্যাটিং ব্যর্থতায় তারা থামে ১৬২ রানেই। দলের পক্ষে তিলক ভার্মা অর্ধশতক করলেও তা হার এড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না।
ম্যাচে ভারতের তিন অপ্রীতিকর রেকর্ড
১. ঘরের মাঠে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে পরাজয় (টি-টোয়েন্টি)
এ ম্যাচের আগে নিজেদের দেশে কখনো ৫০ রানের বেশি ব্যবধানে টি-টোয়েন্টিতে হারেনি ভারত। এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সেই সীমা ভেঙে দিল ৫১ রানের ব্যবধানে।
২. রেকর্ড সংখ্যায় হারের তালিকায় শীর্ষে প্রোটিয়ারা
এই ম্যাচে হারের মধ্য দিয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভারতকে সবচেয়ে বেশি-১৩ বার হারানো দল হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা এখন এককভাবে এগিয়ে। এতদিন যৌথভাবে এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া (১২ বার করে)।
৩. ভারতের সব উইকেটই গেল পেসারদের ঝুলিতে
টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে প্রথমবার ভারতের সব দশ উইকেটই তুলে নিল কোনো দলের পেসাররা। এর আগে পাকিস্তান (২০২৪ বিশ্বকাপ) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের (২০২২) বিপক্ষে ৯টি করে উইকেট হারিয়েছিল ভারত।
এ ছাড়া আরও একটি বিশেষ তথ্য হলো জসপ্রিত বুমরা ও অর্শদীপ সিং একসঙ্গে খেললে ভারত এর আগে কখনো টি-টোয়েন্টিতে হারে নি। দুজনকে নিয়ে ১৩ ম্যাচেই জয় ছিল ভারতের। সেই ধারাও ভাঙল এই ম্যাচে।
মুল্লানপুরের এই হার সিরিজে ভারতকে পেছনে ঠেলে দিয়েছে এবং পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে রোহিত শর্মার দল।
মন্তব্য করুন

