

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নোয়াখালীর নেয়াজপুর কাশেমবাজার জামে মসজিদে ইসলামী ছাত্রশিবিরের আয়োজিত দারসুল কোরআন কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ তুলে ফেনীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সংগঠনটি।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে ফেনী শহর শাখা ছাত্রশিবিরের ব্যানারে বড় মসজিদ চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, কোরআন শিক্ষার আসরে হামলার মাধ্যমে হামলাকারীরা ধর্মীয় মূল্যবোধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ওপর আঘাত করেছে। প্রশাসনের প্রতি তারা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানান।
জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আনম আবদুর রহিম বলেন, “নোয়াখালীতে ছাত্রশিবিরের দারসুল কোরআন অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আমরা রাস্তায় নেমেছি।
এ দেশের মানুষ চায় শান্তিপূর্ণ রাজনীতি। আবার কেউ সহিংসতা শুরু করলে জনগণই তার জবাব দেবে।”
শিবির সভাপতি আবু হানিফ হেলাল বলেন, “আমরা কোরআন শিক্ষার আয়োজন করেছিলাম, অথচ সেখানে হামলা হয়েছে। এতে আমাদের সহকর্মীরা আহত হয়েছেন।
আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই—যারা এমন হামলা চালিয়েছে, তারা ইসলামী মূল্যবোধকে অস্বীকার করেছে।”
শহর শিবির সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, “নোয়াখালীতে কোরআনপ্রেমী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
বিক্ষোভে শহর শিবিরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৮ অক্টোবর) কাশেমবাজার জামে মসজিদে ছাত্রশিবিরের কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম চলাকালে হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ওঠে। পরদিন দুপুরে সুধারাম মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
বিকেলে প্রতিবাদস্বরূপ ওই মসজিদে নতুন করে দারসুল কোরআন কর্মসূচির ঘোষণা দেয় ছাত্রশিবির।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিকেলে নেওয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেমবাজার এলাকায় শিবির ও বিএনপিপন্থী কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়, যাতে অন্তত ২০ জন আহত হন।
মন্তব্য করুন
