শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনী হাওয়ায় মাঠে নেমেছে ছোট দলের হেভিওয়েট প্রার্থীরা

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:১৭ পিএম আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:১৯ পিএম
হেভিওয়েট নেতারা
expand
হেভিওয়েট নেতারা

দেশে নির্বাচনী আমেজ এখন তুঙ্গে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে।

তবে এবারের ভোটের মাঠে থাকছে না ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ। ফলে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে। তবে ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারাও বসে নেই। বড় দলের পাশাপাশি তারাও যে যার মতো আসন ধরে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সূত্র মতে, বিএনপি নীতিগতভাবে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর জন্য কিছু আসন ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে যারা পাশে ছিল, তাদের মধ্যেই এসব আসন ভাগ হবে। সে কারণে ছোট দলের একঝাঁক শীর্ষ নেতা ইতোমধ্যে প্রচারে নেমে পড়েছেন।

গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব (লক্ষ্মীপুর-৪), নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না (বগুড়া-৪), ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক (ঢাকা-৮), গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬), ভাসানী জনশক্তি পার্টির সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু (জামালপুর-৫) এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইউম (কিশোরগঞ্জ-৫) প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আ স ম আবদুর রব শারীরিক কারণে না দাঁড়ালে তার স্ত্রী তানিয়া রব প্রার্থী হতে পারেন।

১২ দলীয় জোট থেকে জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার (পিরোজপুর-১), বিএনডিপির চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা (কিশোরগঞ্জ-৫), জাপা (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন (কুষ্টিয়া-২), প্রেসিডিয়াম সদস্য নবাব আলী আব্বাস খান (মৌলভীবাজার-২), এলডিপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম (লক্ষ্মীপুর-১), জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা রশীদ বিন ওয়াক্কাস (যশোর-৫), উবাইদুল্লাহ ফারুক (সিলেট-৫), খেলাফত মজলিসের আব্দুল বাছিত আজাদ (হবিগঞ্জ-২) এবং ড. আহমদ আবদুল কাদের (হবিগঞ্জ-৪) নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। তবে ইসলামপন্থি দলগুলো আলাদা জোট গঠন করলে তাদের আসন সমন্বয়ে পরিবর্তন আসতে পারে।

এছাড়া এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (চট্টগ্রাম-১৪), মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ (কুমিল্লা-৭), বিএনপি-বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ (ঢাকা-১৭), গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর (পটুয়াখালী-৩), সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান (ঝিনাইদহ-২), গণফোরামের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী (ঢাকা-৬), এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু (ফেনী-২), এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ (ঢাকা-১৩), গণফোরামের ড. রেজা কিবরিয়া (হবিগঞ্জ-১) এবং এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ (নড়াইল-২) আসন ধরে নির্বাচনী মাঠে নামতে প্রস্তুত।

ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমি ঢাকা-৮ আসনে প্রার্থী হব। দীর্ঘদিন এখানে বসবাস করছি, এটি আমার এলাকা।

অন্যদিকে বিএনডিপির চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা জানান, বিএনপি মৌখিকভাবে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন তাকে দিয়েছে। তিনি আশাবাদী, চূড়ান্ত মনোনয়নও পাবেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিএনপি যদি শরিকদের জন্য আসন ছেড়ে দেয়, তবে তাদের বিজয়ের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। এ কারণেই ছোট দলের বড় নেতারা সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করছেন নিজেদের আসন নিশ্চিত করতে। শেষ পর্যন্ত কে কতটা সুযোগ পাবেন, তা নির্ভর করছে বিএনপির হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের ওপর।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন