বৃহস্পতিবার
৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বৃহস্পতিবার
৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ-জাতীয় পার্টি ছাড়া নির্বাচন হলে তা নিকৃষ্ট হবে: শামীম হায়দার

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২৮ এএম আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২৩ পিএম
জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী
expand
জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী

জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী দাবি করেছেন, যদি কোনোভাবে জাতীয় নির্বাচন থেকে আওয়ামী লীগ এবং তাদের দলটি (জাতীয় পার্টি) বাদ পড়ে, তাহলে সেটি বাংলাদেশের ভোটের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ রেকর্ডের মধ্যে পরতে পারে — এমনকি ২০১৪ সালের একতরফা ভোটের অবস্থার চেয়েও বেশি অনিষ্টকর হতে পারে।

সম্প্রতি এক টিভি টকশোতে বক্তব্য প্রদানে তিনি বলেন, অতীতে যখন জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হয়, তখন সেখানে নাম উচ্চারণ করাও যেন সামাজিকভাবে দণ্ডনীয় ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

সেই প্রেক্ষাপটেই জাতীয় পার্টি স্পষ্টভাবে একই ধাঁচের ব্যানকে সমর্থন করেনি। শামীম হায়দার স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনের পরও তারা সতর্ক করেছিলেন যে একতরফা ভোট নিয়ে থাকা সরকার টেকসই হবে না এবং দ্রুত পুনরায় নির্বাচন আয়োজন প্রয়োজন হবে—তবে তখন তাদের কথা গুরুত্ব পায়নি।

তিনি আরও বলেন, “আমরা তখনই বলেছিলাম, একতরফা নির্বাচনের সরকার দীর্ঘস্থায়ী হবে না—এবং এখনো আমরা সেই মতেই আছি।”

শামীম হায়দার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাসঙ্গিকতাও নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এনসিপি জাতীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি এবং গণ অধিকার পরিষদও জাতীয় স্তরে পৌঁছায়নি।

জামায়াতসহ ইসলামী ধারার দলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো দল জাতীয় পর্যায়ে উঠে আসতে পারেনি—জামায়াতই ব্যতিক্রম।

টকশোতে তিনি দেশের সাম্প্রতিক আন্দোলন ও তাতে প্রাণ হারানো মানুষের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “একটি বৃহৎ আন্দোলন ও তার প্রেক্ষাপট আছে; মানুষ অনেক কষ্ট করেছে।” কিন্তু একাংশকে বাদ দিয়ে ভোট করালে বিএনপি-প্রমুখ দলগুলো সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণে রাজি হবে না — এমন একটা পরিস্থিতি দেশের জন্য বেদনাদায়ক পরিণতি বয়ে আনবে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।

শামীম হায়দারের ভাষ্য অনুযায়ী, যদি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে দুটি বড় দলকে বাদ রেখে নির্বাচন হয়, তা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য বড় ধাক্কা হবে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন