

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতেও এ দেশে আর ফ্যাসিবাদ কায়েম হতে দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে তিনি এ কথা বলেন। সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলা এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর পূর্ব সভাপতি আসিফ আব্দুল্লাহ ও দক্ষিণ সভাপতি হেলাল উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, আর প্রধান বক্তা ছিলেন বর্তমান সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ২৮ অক্টোবর আমাদের ইতিহাসের এক বেদনাদায়ক কিন্তু অনুপ্রেরণার দিন। সেদিন ছিল চারদলীয় জোট সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরের নির্ধারিত সময়। কিন্তু আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর সংগঠিত সহিংস হামলা চালায়, যাতে বহু নেতা-কর্মী নিহত হন।
তিনি দাবি করেন, সেই ঘটনার জন্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে তারা সেই মামলা প্রত্যাহার করে নেয়।”
তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান—২৮ অক্টোবরের ঘটনায় দায়ীদের বিচারের আওতায় এনে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
প্রধান বক্তা হিসেবে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠার চার বছরের মধ্যেই আমাদের বহু কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। কেউ কেউ গুম হয়েছেন, আবার অনেকের লাশও পরিবার ফিরে পায়নি। এমন ভয়াবহতা নিয়েই আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশে মাথা তুলেছিল ২৮ অক্টোবরের রক্তাক্ত ঘটনার মধ্য দিয়ে। তাই আমরা দাবি জানাই, এই মামলাটি বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পুনরায় চালু করে দ্রুত বিচার করতে হবে। পাশাপাশি নিহত ১৮ জন ভাইকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘শহীদ’ ঘোষণা করে তাদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি নূরুল ইসলাম বুলবুল, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি, জাকসুর জিএস মাজহারুল ইসলামসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন এবং উপস্থিত দর্শনার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    