

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান রবিবার (২৬ অক্টোবর) নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, আগামী ২৮ অক্টোবর মহানগরী, জেলা, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, আলোচনা সভা এবং দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
সংগঠন সংশ্লিষ্টদেরকে এ কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুতি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ডা. শফিকুর রহমান স্মরণ করিয়েছেন, ২০০৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে, চারদলীয় জোট সরকারের মেয়াদ শেষে ২৮ অক্টোবর ঢাকাসহ সারাদেশে হামলা চালানো হয়েছিল।
সেদিন বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে জামায়াতে ইসলামী একটি জনসভার আয়োজন করে।
তবে সকাল থেকে জনসভার প্রস্তুতি চলাকালীন সময় ১৪ দলীয় জোটের সন্ত্রাসীরা পল্টন এলাকায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে লগি-বৈঠা, লোহার রড এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
তিনি বলেন, “সমাবেশের প্রধান অতিথি তৎকালীন জামায়াতের আমির ও শিল্পমন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী (রহি.) ছিলেন।
কেন্দ্রীয় নেতাকর্মী ও জনসাধারণের ওপর আক্রমণ করা ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পল্টন এলাকা সন্ত্রাসী তাণ্ডবে রক্তাক্ত হয়ে যায়।”
ডা. শফিকুর রহমান উল্লেখ করেন, ঢাকাসহ সারাদেশে হামলায় ১৪ জন নেতাকর্মী শহিদ হন এবং সহস্রাধিক আহত হন। ১৪ দলের সন্ত্রাসীরা সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল।
তিনি বলেন, “সন্ত্রাসীরা মরদেহের ওপর নৃত্য করে আনন্দ প্রকাশ করেছিল, যা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও প্রচারিত হয়। এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত মানবতাবিরোধী গণহত্যা।”
তিনি আরও বলেন, “২৮ অক্টোবরের এই নারকীয় ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে ইতিহাসে থাকবে। এরপর তারা দেশে সন্ত্রাসী রাজনীতির সূচনা করে, যা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। দেশের গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার ও ভোটাধিকারের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে।”
ডা. শফিকুর রহমান দাবি করেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের জন্য মামলা দায়ের করা হয়েছিল, তবে তখনকার সরকার মামলাটি প্রত্যাহার করে খুনিদের রক্ষা করেছিল। তিনি বলেন, “৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের মাধ্যমে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়। আমরা বিশ্বাস করি, এ পটপরিবর্তনের ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং ২৮ অক্টোবরের খুনিদের দ্রুত বিচার করা হবে।”
তিনি নিহতদের শহিদ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য মহান রবের কাছে দোয়া করেছেন এবং আহত ও পঙ্গুদের পরিবারে গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    