

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সরকারি কাজের ধীরগতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি একটি ব্যঙ্গাত্মক পোস্টে সরকারি দপ্তরের কাজের জটিল প্রক্রিয়া তুলে ধরেন।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, “সরকারি কোনো অফিসে যদি মাত্র ১০০ টাকার একটি ঝুড়ি কেনার প্রয়োজন হয়, তবু সেটি পেতে পেরোতে হয় একাধিক ধাপ।”
তার উল্লেখ করা প্রক্রিয়াটি এমন—
১। প্রথমে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ঝুড়ির প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে চাহিদা পত্র (ডিমান্ড) তৈরি করে।
২। এরপর তা যায় অনুমোদনকারী দপ্তরে, যেখানে দেখা হয়— বাজেট খাতে পর্যাপ্ত অর্থ আছে কি না, আগের কেনা ঝুড়ি কোথায় ব্যবহৃত হয়েছে ও মেয়াদোত্তীর্ণের কারণ কী।
৩। নতুন নাকি পুরনো পরিবর্তনের (রিপ্লেসমেন্ট) জন্য ঝুড়ি দরকার, সেটি যাচাই করা হয়। প্রয়োজনে পুরনোটির অবস্থা রিপোর্ট আকারে জমা দিতে হয়।
৪। যাচাই–বাছাই শেষে চাহিদা অনুমোদন হয়।
৫। অনুমোদিত ফাইল পাঠানো হয় ক্রয় (প্রকিউরমেন্ট) বিভাগে।
৬। প্রকিউরমেন্ট বিভাগ ক্রয়ের অনুমতি পেলে হিসাব (অ্যাকাউন্টস) শাখায় টাকা বরাদ্দের আবেদন পাঠায়।
৭। হিসাব বিভাগ আবারও যাচাই করে প্রয়োজনীয় টাকা অনুমোদন করে।
৮। এরপর প্রকিউরমেন্ট বিভাগ বাইরের সরবরাহকারীর কাছ থেকে ঝুড়ি কিনে আনে।
৯। কেনা ঝুড়ি প্রথমে দপ্তরের নিজস্ব গুদামে (স্টোরে) জমা হয়।
১০। সংশ্লিষ্ট বিভাগ ঝুড়ি নেওয়ার জন্য স্টোরে আবেদন করে।
১১। সর্বশেষ স্টোর পুরনো ঝুড়ি ফেরত নিয়ে নতুনটি সরবরাহ করে।
এই ১১ ধাপের উদাহরণ টেনে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “সরকারি অফিসের কাজের ধীরগতি ও জটিলতা এমন পর্যায়ে যে, ছোট একটি ঝুড়ি কেনাও যেন মহাযজ্ঞে পরিণত হয়।”
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    