

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বোরকা-হিজাব পরার স্বাধীনতার সাথে টু-কোয়ার্টার ও মদের বোতল হাতে ক্লাসে যাওয়ার স্বাধীনতার তুলনা করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
পোস্টটি করার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি অনলি মি করে রেখেছেন তিনি। সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত আনুমানিল ৯টার দিকে এই পোস্টটি করেছিলেন তিনি।
ওই পোস্টে রাবির ছাত্রীদের দুইটি হল সংসদের নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণের সময়কার ছবি যুক্ত করে ক্যাপশনে অধ্যাপক আ-আল মামুন লিখেছিলেন, এই ব্যক্তিগত স্বাধীনতা (বোরকা-হিজাব পরা) আমি এন্ডর্স করছি।
কাল (আজ) আমি এরকম ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পরে ও হাতে নিয়ে ক্লাসে যাবো। পরবো টু-কোয়াটার, আর হাতে থাকবে মদের বোতল। মদ তো ড্রাগ না! মদ পান করার লাইসেন্সও আমার আছে! শিবির আইসেন, সাংবাদিকরাও আইসেন!
এই পোস্টের জানতে চাইলে অধ্যাপক আ-আল মামুন বলেন, আমি পোস্টটি ডিলিট করিনি। আমি ফেসবুকে এরকম পোস্ট করি এবং অনলি মি করে রাখি। এটা আমি তাৎক্ষণিক পোস্ট করি এবং অনলি মি করে দেয়। এটা এই কারণেই করি যাতে আমি ওইটা নিয়ে পরে ভাবতে পারি।
পোশাকের স্বাধীনতা বিষয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, পোশাকের স্বাধীনতা ন্যারেটিভ নিয়ে গত ১৫ বছর ধরে আমি লড়াই করছিলাম। একটা মেয়ে হিজাব পরে তার বাচ্চাকে নিয়ে খেলছে, এটা নিয়ে সেকুলাররা খুব ক্রিটিক করেছিল। হু ডিফেন্ডেড দ্য ক্রিটিক? আই মাইসেল্ফ ওয়াজ দেয়ার। পোশাকের স্বাধীনতা ইজ আ.. স্টান্ডার্ড, দ্যাট উই হ্যাড টু থিংক আ ডিফারেন্ট ওয়ে।
তিনি আরও বলেন, পোস্টটা ৩ সেকেন্ডের মধ্যে অনলি মি করা হয়েছে। এটাকে পোশাকের স্বাধীনতা বিষয়ে চিন্তার একটি ক্লু বলা যেতে পারে। ওই পোস্টের স্ক্রিনশটে কোনো রিয়্যাকশন-কমেন্ট নেই। কেনো নেই? কারন আই টুক দ্য টাইম টু গো ব্যাক অ্যান্ড সেভ (ওনলি মি) ইট অ্যান্ড সাম পিপল অ্যারাউন্ড দেয়ার সেভড ইট।
পোস্টটি অনলি মি করার কারণ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সঠিক বা বেঠিক, এর কোনোটাই আমি মনে করছি না। এখানে এরকম কোনো প্রশ্ন নেই। এই ভাবনাটা নিয়ে আরও ভাবতে হবে। দ্যাট ইজ মাই পয়েন্ট। এই কারণে ওই পোস্টটি আমি করেছি এবং সেভ করেছি (অনলি মি) করেছি। ফেসবুক ২০০৯ সালে চালু হওয়ার পর থেকেই আমি এটা করি।
মন্তব্য করুন