

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ১৩ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন সমকালীন সব রাজনৈতিক নেত্রীর মধ্যে অন্যতম মর্যাদাবান ব্যক্তিত্ব। তিনি কেবল একজন নেতা নন, বরং প্রতিরোধের প্রতীক এবং সর্বোচ্চ স্তরের দেশপ্রেমিক হিসেবে ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
শফিকুল আলম আরও উল্লেখ করেন, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি ছিলেন নির্ভীক ও আপসহীন। দেশের সবচেয়ে সংকটময় সময়ে তিনি মানুষের মনে আশার আলো জ্বালিয়েছেন। দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশের আত্মপরিচয় ও আত্মমর্যাদার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন এবং তার চিরশান্তি প্রত্যাশা করেন।
এর আগে মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়া ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
দীর্ঘ ১৬ বছরের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলেন এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। এতে ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরবর্তীতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হলেও গুলশানের ভাড়া বাসভবন ‘ফিরোজা’য় তাকে কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় রাখা হয়।
চিকিৎসার অভাবে তার শরীরে একাধিক জটিল রোগ দেখা দেয়। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনি জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় তিনি ভুগছিলেন।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন ক্রমে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। টানা ৩৫ দিনের রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পর ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন। পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির নির্দেশ দেন।
এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান। সেখানে ১১৭ দিন চিকিৎসা শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন। চিকিৎসার ফলে তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও বয়সজনিত দুর্বলতা ও দীর্ঘদিনের শারীরিক ধকল তাকে ক্রমশ নিঃশেষ করে দেয়। মাঝেমধ্যেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হতো।
সর্বশেষ গত ২৩ নভেম্বর তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক মাসেরও বেশি সময় সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
মন্তব্য করুন

